নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে অহিদুল আলম দারুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাদ থেকে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থী হলো চাটখিল উপজেলার বানসা গ্রামের দিনমজুর মাইন উদ্দীনের একমাত্র ছেলে তাহমিদ-(৬)।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় তাহমিদকে ছাদে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় তার সহপাঠী হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী আজহার। পরে সে (আজহার) চিৎকার দিলে মাদ্রাসায় থাকা সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে তাহমিদের নাকে এবং মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহ ছাদে পড়ে থাকতে দেখলে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল মাদ্রাসায় এসে তাহমিদের লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাবাদ ইউনিয়নের জিনারাগ উত্তর পাড়া অহিদুল আলম দারুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রেদওয়ান জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার (১৪এপ্রিল) সকালে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ফজরের নামাজ পড়ে সকালের খাবার খেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘুমাতে যায়। ঘণ্টাখানেক পরেই তাহমিদের লাশ মাদ্রাসা ছাদের ওপর পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে আমরা ছুটে গিয়েছি।
বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে তাহমিদের পিতা মাইন উদ্দীনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান ও বাবারে আমি একজন দিনমজুর মানুষ। আমার ২ মেয়ে আর ১ ছেলে। একমাত্র ছেলেকে আমি দ্বীনি শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় পড়তে দিয়েছিলাম। আমার এতো সুন্দর ছেলে, কী থেকে কী হয়ে গেল। আমি এর সঠিক বিচার চাই। একথা বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে জানান, হাসনাবাদ ইউনিয়নের অহিদুল আলম দারুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাদে এক শিক্ষার্থীর লাশ পড়ে থাকার খবর শুনে আমাদের একটি টিম গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোস্টমর্টেম করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসা সাপেক্ষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page