স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার টয়লেট থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাওহীদ হোসেন (১২) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পৌর এলাকার রামরায় গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। সে মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাতে মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে তাওহীদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় মাদ্রাসার এক ছাত্র। ওই ছাত্র পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবি, ছেলেটিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলানোর মতো কালো দাগ রয়েছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি ছেলেটি ‘আত্মহত্যা’ করেছে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাওহীদ দুপুর ২ টায় ওয়াশরুমে গিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ৮ টায় তার ‘আত্মহত্যার’ খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, একজন শিক্ষার্থী ৬ ঘণ্টা নিখোঁজ আর এটা মাদ্রাসাশিক্ষকদের কারও নজরে পড়ল না। তাছাড়া এ লম্বা সময়ে আর কী কেউ ওয়াশরুমে যায়নি। সুতরাং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষেয়ে মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার পরিচালক নজির আহমেদ ফাহিম বলেন, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। আমরা তাকে হত্যা করবো কেন? তাকে মারলে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রদের তো দেখার কথা। নিউজ করে লাভ কী? আপনারা কী টাকা পাবেন? শুধু শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানের শুনাম নষ্ট করতেছেন।’ তবে তিনি আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেননি।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ফোর্স পাঠিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানাতে পারব এবং সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page