স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে মেয়েকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং ধর্ষককে অবরুদ্ধ করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। হামলা চলাকালে বাড়ির মালিক আব্দুর রশিদের ছেলে সাকিব হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরসহ ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা কাজী বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আটক জামাল হোসেন দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরের দক্ষিণ দারিবন গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় অটোরিকশাচালক জামাল হোসেন বারেরা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, মাস দেড়েক আগে বারেরা এলাকার এক নারীর দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরের দক্ষিণ দারিবন গ্রামের জামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। এটি দুজনের দ্বিতীয় বিয়ে। নতুন দম্পতি বারেরা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। ওই নারীর আগের সংসারের ৭ বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে। সে তার নানার বাড়ি থাকতো। ঈদ উপলক্ষে শিশুটিকে তার মা তাদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে নিয়ে আসেন।
শুক্রবার রাতে জামাল হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি শিশুটি তার মাকে জানায়। তার মা এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখান। পরদিন শিশুটি প্রতিবেশিদের জানালে শনিবার বিকেলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জামালের বাড়ি ঘেরাও করেন এবং তাকে গণধোলাই দিয়ে ঘরে আটকে রাখেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে জামালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, অভিযুক্ত জামালকে গ্রামবাসী আটক করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে জামাল হোসেন ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page