স্টাফ রিপোর্টার।।
কিছুদিন ধরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিজমির টপসয়েল (উপরিভাগের মাটি) কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে মাটিখেকোরা। ইটভাটার মালিকদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও নেমেছেন এই কারবারে। উপজেলার অন্তত ২০টি স্থানে কৃষিজমির মাটিকাটা চলছে।
বিষয়টি নজরে আসায় কৃষিজমি রক্ষায় অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া গ্রামের ফসলি জমিতে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আক্তার শিফা। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে মাটি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ফসলি জমি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে দুটি মাটিভর্তি ট্রাক্টর জব্দ করে প্রশাসন।
এদিকে একই দিন বিকেলে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনয়নের ধনপুরে অভিযান পরিচালনা করেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে তাহমিনা মিতু।
তিনি মাটি কাটার স্থানে পৌঁছতেই মাটি ব্যবসায়ী ও সেখানে কাজ করা শ্রমিকরা পালিয়ে যান। তিনিও মাটিভর্তি একটি ট্রাক্টর জব্দ করেন।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহীন আক্তার শিফা বলেন, ‘কৃষিজমিতে মাটি কাটার খবর পেয়ে বাতাবাড়িয়ায় অভিযানে যাই। আমাদের গাড়ি দেখেই মাটি কাটায় সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যান।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে তাহমিনা মিতু বলেন, ‘কৃষিজমির টপসয়েল কাটা বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলবে। আজকেও ধনপুর-রায়পুরে অভিযান করেছি। তবে ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে তারা আগেই পালিয়ে যান।’












