জহিরুল হক বাবু।।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় কুমিল্লায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ কুমিল্লা শহর ও আশপাশের এলাকায় টহল কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
র্যাব-১১ সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধসহ নানা মামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় মোট ৩০৪ জন চাঞ্চল্যকর অপরাধী গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী, আরসা সদস্য ১৫ জন, জঙ্গি সংগঠনের ২ জন সদস্য, হত্যা মামলার ১৯০ জন এবং ধর্ষণ মামলার ১০২ জন আসামি রয়েছে।

এছাড়াও অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ১২৭টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও ১ হাজার ৪০১ রাউন্ড গোলাবারুদ। পাশাপাশি ৪৯৪ জনের বেশি মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের অভিযানে ৮৮ জন অপহরণকারী গ্রেফতার এবং ৯৬ জন অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৯৬ জন ছিনতাইকারী ও ডাকাত, ৩৯ জন জেল পলাতক, ১৮ জন প্রতারণা মামলার আসামিসহ মোট প্রায় **৬০৮ জন অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
অপরাধ দমনের পাশাপাশি জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা নিরলসভাবে কাজ করছে। গভীর রাত পর্যন্ত টহল পরিচালনার পাশাপাশি মহাসড়ক ও কুমিল্লা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এছাড়াও জনবহুল এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে র্যাবের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
র্যাব-১১ জানায়, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান ও নিরাপত্তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।











