১১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভেকু জব্দ কুমিল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার আ’লীগের হামলায় আহত মহিলাদল নেত্রীকে দেখতে কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ খেলাধুলা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে -সফিকুর রহমান বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ইটভাটা উচ্ছেদ জয়পুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৬১ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন- ড. ইমরান আনসারী কোনো ষড়যন্ত্রই কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধন ভাঙতে পারবে না-হাজী ইয়াছিন

কুমিল্লায় সোনার কলসির লোভে গৃহবধূর সর্বনাশ, এলাকায় চাঞ্চল্য

  • তারিখ : ১০:০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • 174

আতাউর রহমান।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সাতটি স্বর্ণের কলসির লোভ দেখিয়ে রহিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর কাছ থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারকচক্র।

শনিবার (২৬ জুলাই ) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রধান ফটকের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রতারণার শিকার গৃহবধূ রহিমা আক্তার ( ২৫ ) উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার মজম আলী দুধ বেপারী বাড়ির কামাল হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

এ ঘটনায় কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী সর্বস্ব হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এলাকায় এই ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

থানায় দেওয়া অভিযোগ ও ভুক্তভোগী গৃহবধূ সূত্রে জানা গেছে, অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে ওই গৃহবধূকে গত কিছুদিন ধরে ৭টি স্বর্ণের কলসির লোভ-লালসা দেখিয়ে আসছিল একটি প্রতারকচক্র। প্রতারক চক্রটি ওই গৃহবধূকে বলেছিল সেই স্বর্ণের কলসিগুলো পেতে হলে তাকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা দিতে হবে।

এরই প্রেক্ষিতে ওই গৃহবধূ অবশেষে স্বর্ণের কলসির লোভে পড়ে নিজের ঘরে থাকা ৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং আশপাশের ঘর থেকে সংগ্রহ করে আরও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রতারক চক্রের দেওয়া স্থানে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রধান ফটকের ভেতরে যায়।

এ সময় ওই প্রতারক চক্রটি তার কাছ থেকে এসব স্বর্ণালংকার ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে প্রতারক চক্রের সদস্যদের হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সেই চক্রটিকে আর খুঁজে পাননি ওই গৃহবধূ।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ রহিমা আক্তার বলেন, গত কিছুদিন ধরে একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন থেকে আমাকে ফোন করে বলে আমি ৭টি সোনার কলস পেতে যাচ্ছি। তবে কলসগুলো পেতে হলে আমাকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা দিতে হবে। প্রথমে আমি এই বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে কীভাবে যে তাদের ফাঁদে পড়ে যাই। আমার স্বামী এই সাত লাখ টাকা বাড়ির কাজের জন্য রেখেছিলেন। তাদের ফাঁদে পড়ে আমরা সর্বস্ব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) টমাস বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় সোনার কলসির লোভে গৃহবধূর সর্বনাশ, এলাকায় চাঞ্চল্য

তারিখ : ১০:০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

আতাউর রহমান।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সাতটি স্বর্ণের কলসির লোভ দেখিয়ে রহিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর কাছ থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারকচক্র।

শনিবার (২৬ জুলাই ) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রধান ফটকের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রতারণার শিকার গৃহবধূ রহিমা আক্তার ( ২৫ ) উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার মজম আলী দুধ বেপারী বাড়ির কামাল হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

এ ঘটনায় কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী সর্বস্ব হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এলাকায় এই ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

থানায় দেওয়া অভিযোগ ও ভুক্তভোগী গৃহবধূ সূত্রে জানা গেছে, অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে ওই গৃহবধূকে গত কিছুদিন ধরে ৭টি স্বর্ণের কলসির লোভ-লালসা দেখিয়ে আসছিল একটি প্রতারকচক্র। প্রতারক চক্রটি ওই গৃহবধূকে বলেছিল সেই স্বর্ণের কলসিগুলো পেতে হলে তাকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা দিতে হবে।

এরই প্রেক্ষিতে ওই গৃহবধূ অবশেষে স্বর্ণের কলসির লোভে পড়ে নিজের ঘরে থাকা ৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং আশপাশের ঘর থেকে সংগ্রহ করে আরও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রতারক চক্রের দেওয়া স্থানে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রধান ফটকের ভেতরে যায়।

এ সময় ওই প্রতারক চক্রটি তার কাছ থেকে এসব স্বর্ণালংকার ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে প্রতারক চক্রের সদস্যদের হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সেই চক্রটিকে আর খুঁজে পাননি ওই গৃহবধূ।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ রহিমা আক্তার বলেন, গত কিছুদিন ধরে একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন থেকে আমাকে ফোন করে বলে আমি ৭টি সোনার কলস পেতে যাচ্ছি। তবে কলসগুলো পেতে হলে আমাকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা দিতে হবে। প্রথমে আমি এই বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে কীভাবে যে তাদের ফাঁদে পড়ে যাই। আমার স্বামী এই সাত লাখ টাকা বাড়ির কাজের জন্য রেখেছিলেন। তাদের ফাঁদে পড়ে আমরা সর্বস্ব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) টমাস বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে।