১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা; ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • তারিখ : ০৮:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • 38

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মামলার অপর দুই আসামিকে সাত বছরের সাজা ও একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার এবং সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন–কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর এলাকার মো. শাহীন মিয়া, মো. সুজন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. আল আমিন ও মো. সোহাগ মিয়া।

সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলেন– আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমান। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনার আশিক হত্যার মামলার আটজন আসামি মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজন সাত বছরের সাজা ও একজনকে খালাস দেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে দুজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা আসাদপুর এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তার কয়েক বন্ধু। হত্যার পর মরদেহ খালের ডোবায় লুকিয়ে রাখে। পরে এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুল খালেদ ভূঞা বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেন। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা; ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

তারিখ : ০৮:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মামলার অপর দুই আসামিকে সাত বছরের সাজা ও একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার এবং সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন–কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর এলাকার মো. শাহীন মিয়া, মো. সুজন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. আল আমিন ও মো. সোহাগ মিয়া।

সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলেন– আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমান। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনার আশিক হত্যার মামলার আটজন আসামি মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজন সাত বছরের সাজা ও একজনকে খালাস দেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে দুজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা আসাদপুর এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তার কয়েক বন্ধু। হত্যার পর মরদেহ খালের ডোবায় লুকিয়ে রাখে। পরে এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুল খালেদ ভূঞা বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেন। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।