১১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার মুরাদনগরে ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা ও আগুন; দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • তারিখ : ০৫:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 446

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাড়িঘর সহ ৪টি মাজারে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় দুই হাজার দুইশ অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীররাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এলাকায় পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জানা যায়, ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে মহসিন নামের এক যুবক আপত্তিকর পোস্ট দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে মহসিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন।

দুপুরে উপজেলার আসাদপুর গ্রামের ফকিরবাড়ি থেকে মহসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদি হয়ে মহসিনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে ফেসবুকে আপত্তিকর ওই পোষ্টকে কেন্দ্র বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে আগুন এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা-ভাংচুর করে। এতে পাশের কিছু ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এদিকে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার আসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতংকে এলাকা অনেকটা পুরুষ শূন্য। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: নাজির আহমেদ খান ঘটনাস্থল ঘুরে এসে জানিয়ে ছিলেন, ‘ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার পর তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে যারা ঘটনার উস্কানি দিয়ে মাজারে হামলা ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা ও আগুন; দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা

তারিখ : ০৫:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাড়িঘর সহ ৪টি মাজারে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় দুই হাজার দুইশ অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীররাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এলাকায় পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জানা যায়, ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে মহসিন নামের এক যুবক আপত্তিকর পোস্ট দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে মহসিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন।

দুপুরে উপজেলার আসাদপুর গ্রামের ফকিরবাড়ি থেকে মহসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদি হয়ে মহসিনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে ফেসবুকে আপত্তিকর ওই পোষ্টকে কেন্দ্র বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে আগুন এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা-ভাংচুর করে। এতে পাশের কিছু ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এদিকে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার আসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতংকে এলাকা অনেকটা পুরুষ শূন্য। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: নাজির আহমেদ খান ঘটনাস্থল ঘুরে এসে জানিয়ে ছিলেন, ‘ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার পর তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে যারা ঘটনার উস্কানি দিয়ে মাজারে হামলা ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।