০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩ কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার ‎ব্রাহ্মণপাড়া চান্দলায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

কুমিল্লার দিগধাইর গ্রামে প্রথম ত্রান আসলো নেত্রকোনা থেকে

  • তারিখ : ০৯:২১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • 37

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের গ্রাম দিগধাইর। গত দশদিন আগে বানের পানিতে তলিয়ে যায় গ্রামটি। গ্রামটিতে নেই কোন সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, নিরাপদ উঁচু জায়গা। টানা পানিবন্দি থেকে খাবারের সংকটে ভুগেন এই গ্রামের মানুষ।

নৌকায় কিছু খাবার ৫ মাইল দূরের বাজার থেকে এনে আশেপাশের মানুষের মধ্যে বিলি করা হলেও যেখানে বেশি পানি উঠেছে সেখানে যেতে পারেনি কেউ। এমনকি একটি মসজিদে আশ্রয় নেয়া ১১০ টি পরিবার দিন পার করছিল অর্ধাহারে। বিভিন্ন মাধ্যমে ত্রাণের জন্য আহ্বান করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।

সবশেষ দিগধাইর গ্রামের এক বাসিন্দার ফোনে সাড়া দেন সুদূর নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার সমাজসেবী আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদারের টীমের স্বেচ্ছাসেবকরা। কুমিল্লার লাকসাম থেকে অন্তত সাড়ে তিন শ কিলোমিটার দূর থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে সোমবার রাতে এসে লাকসাম উপজেলার খিলা বাজারে পৌঁছায় দলটি। স্থানীয় বাজার থেকেই কেনা হয় ১১০ টি পরিবারের জন্য রান্না করা খাবারের বিভিন্ন আইটেম। মধ্যরাতেই নৌকায় করে পৌঁছানো হয় আশ্রয় কেন্দ্রে। আড়াই ঘন্টা বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুর্যোগ কবলে তো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বস্তা ভর্তি বাজার পৌঁছায় ভিন্ন জেলা থেকে আসা এই তরুনদেরর দলটি।

মসজিদে আশ্রয় নেয়া যুবক শামীম হোসাইন জানান, দীর্ঘ সাত দিন পানিবন্দি থাকার পরও কেউ আমাদের জন্য এত পরিমান প্রাণ নিয়ে আসেনি। আশেপাশের গ্রাম থেকে পাড়া প্রতিবেশীরা কিছুটা সহায়তা করেছে। এতদুর নেত্রকোনা থেকে যারা এসেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

নেত্রকোনা থেকে আসা যুবকদের একজন তরিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, দীর্ঘ গ্রাম থেকে আমার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে আমরা প্রস্তুত হই কুমিল্লায় আসার। নেত্রকোনা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমাজসেবী আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার আমাদের দ্রুত সহযোগিতার টাকা দেন । সেই টাকা নিয়ে রওনা হয়েছি। অপরিচিত এলাকায় এসে দুর্গত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভালো লাগছে।

কুমিল্লা বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে শুধু স্থানীয়রাই নয় জেলার বাইরে থেকে অন্তত দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রাণ নিয়ে ও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। তাদের অনেকের কাছেই কুমিল্লা একেবারেই অপরিচিত। তারপরও মানবতার সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে আসছেন তরুণরা। বন্যা কবলিতদের সহযোগিতা করছেন নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার। এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে খাবার,ঔষধ ও জামা কাপড় বিলি করছেন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লার দিগধাইর গ্রামে প্রথম ত্রান আসলো নেত্রকোনা থেকে

তারিখ : ০৯:২১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের গ্রাম দিগধাইর। গত দশদিন আগে বানের পানিতে তলিয়ে যায় গ্রামটি। গ্রামটিতে নেই কোন সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, নিরাপদ উঁচু জায়গা। টানা পানিবন্দি থেকে খাবারের সংকটে ভুগেন এই গ্রামের মানুষ।

নৌকায় কিছু খাবার ৫ মাইল দূরের বাজার থেকে এনে আশেপাশের মানুষের মধ্যে বিলি করা হলেও যেখানে বেশি পানি উঠেছে সেখানে যেতে পারেনি কেউ। এমনকি একটি মসজিদে আশ্রয় নেয়া ১১০ টি পরিবার দিন পার করছিল অর্ধাহারে। বিভিন্ন মাধ্যমে ত্রাণের জন্য আহ্বান করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।

সবশেষ দিগধাইর গ্রামের এক বাসিন্দার ফোনে সাড়া দেন সুদূর নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার সমাজসেবী আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদারের টীমের স্বেচ্ছাসেবকরা। কুমিল্লার লাকসাম থেকে অন্তত সাড়ে তিন শ কিলোমিটার দূর থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে সোমবার রাতে এসে লাকসাম উপজেলার খিলা বাজারে পৌঁছায় দলটি। স্থানীয় বাজার থেকেই কেনা হয় ১১০ টি পরিবারের জন্য রান্না করা খাবারের বিভিন্ন আইটেম। মধ্যরাতেই নৌকায় করে পৌঁছানো হয় আশ্রয় কেন্দ্রে। আড়াই ঘন্টা বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুর্যোগ কবলে তো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বস্তা ভর্তি বাজার পৌঁছায় ভিন্ন জেলা থেকে আসা এই তরুনদেরর দলটি।

মসজিদে আশ্রয় নেয়া যুবক শামীম হোসাইন জানান, দীর্ঘ সাত দিন পানিবন্দি থাকার পরও কেউ আমাদের জন্য এত পরিমান প্রাণ নিয়ে আসেনি। আশেপাশের গ্রাম থেকে পাড়া প্রতিবেশীরা কিছুটা সহায়তা করেছে। এতদুর নেত্রকোনা থেকে যারা এসেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

নেত্রকোনা থেকে আসা যুবকদের একজন তরিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, দীর্ঘ গ্রাম থেকে আমার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে আমরা প্রস্তুত হই কুমিল্লায় আসার। নেত্রকোনা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমাজসেবী আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার আমাদের দ্রুত সহযোগিতার টাকা দেন । সেই টাকা নিয়ে রওনা হয়েছি। অপরিচিত এলাকায় এসে দুর্গত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভালো লাগছে।

কুমিল্লা বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে শুধু স্থানীয়রাই নয় জেলার বাইরে থেকে অন্তত দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রাণ নিয়ে ও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। তাদের অনেকের কাছেই কুমিল্লা একেবারেই অপরিচিত। তারপরও মানবতার সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে আসছেন তরুণরা। বন্যা কবলিতদের সহযোগিতা করছেন নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার। এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে খাবার,ঔষধ ও জামা কাপড় বিলি করছেন।