
সোহরাব হোসেন।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের এক মাস পর শ্বশুরের সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল করিম ভূঁইয়া (৫২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে আব্দুল করিম ভূঁইয়া গত ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে খড়মপুর মাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া ১৬ আগস্ট দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আমির হোসেন ভূঁইয়ার মোবাইলে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানায়, করিমকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রেখেছে। ওই তথ্যের সূত্র ধরে তিনি পুলিশকে নিয়ে রসুলপুরে শ্বশুরবাড়িতে যান। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর পুলিশ করিমের শ্বশুর মৃত ইউনুছ মিয়ার সেফটি ট্যাংকের ভেতরে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত করিমের দুই শ্যালক মোজ্জামেল ও ইসরাফিল, স্ত্রী তাসলিমা আক্তার এবং দুই ছেলে তানভির ও তৌহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, “আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছিল। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ফাঁসি দাবি করছি।”
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, “একটি ফোনকলের সূত্র ধরে করিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী ও দুই ছেলে-সহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।”