০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় র‍্যাব-১১ এর অভিযানে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মুরাদনগরের আকুবপুর ইউপিতে প্রশাসকের দায়িত্বে পাভেল খান পাপ্পু বুড়িচংয়ে মা-মেয়ের আত্মহত্যা: সৎকারে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ে ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ১৭ জনকে শোকজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে “সফল আত্মকর্মী” পুরস্কার পেলেন কুমিল্লার লাভলী ৪৩তম জাতীয় জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ রানার্সআপ প্রাইজমানি বিতরণ কুমিল্লায় ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা নিরসনে পানিতে নেমে খাল খনন করলেন বিএনপি নেতারা বাংলা প্রেসক্লাব ভেনিসের আয়োজনে তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সভা কুমিল্লার সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারে ফল উৎসব ও সেলাই মেশিন বিতরন কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আড়াই মাসে ৫ খুন; আইন শৃঙ্খলার অবনতি

  • তারিখ : ০৯:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • 10

মোঃ শরিফ খান আকাশ ।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গত আড়াই মাসে পৃথক পৃথক খুনের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছরের ২২ আগষ্ট থেকে ৩ নভেম্বর এর মধ্যে ৫ টি আলাদা ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২ ও ৩ নভেম্বর তারিখে পরপর দুই দিনে দুটি খুন হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়ায়। এ ছাড়া বাকী ৩ টি ঘটনা ঘটেছে আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে।

এসব ঘটনার বেশির ভাগই আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতা ও পারিবারিক কলহের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া খুনের ঘটনার পর সামাজিকভাবে টাকার বিনিময় মীমাংসার চেষ্টা ও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার কারণে এসব ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। ফলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২ নভেম্বর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্বপন আহমেদ (৪০) নামে একজনকে মাদক ব্যবসায়ীরা কুপিয়ে হত্যা করে। স্বপন আহমেদ উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের ভাল্লক গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।

গত ৩ নভেম্বর গভীর রাতে মাছ চুরির সন্দেহে আনোয়ার হোসেন নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত জেলে আনোয়ার হোসেন উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ষাইটশালা গ্রামের মৃত্যু হোসেন মিয়ার ছেলে।

উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২২ আগস্ট দুপুরে গাছের সাথে বেঁধে চান্দলা গ্রামের সাত্তার খন্দকার এর ছেলে সাজ্জাত খন্দকার (১৭) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ২৯ আগস্ট বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজ্জাত খন্দকার মারা যায়।

এ ছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর মোঃ রাকিব (৩৫) ও ইমাম হোসেন (১৭) নামে একই দিনে দুটি ভিন্ন ঘটনায় ২ জন খুন হয়। রকিব উপজেলার সাহেবাবাদ মধ্যপাড়া গ্রামের আঃ বারেকের ছেলে।

দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার সাহেবাবাদ গ্রামে মোঃ রাকিব কে একই বাড়ির লোকজন মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর অবস্থায় ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এবং সাহেবাবাদ এলাকার মোঃ মান্নানের ছেলে ইমাম হোসেন কে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় খুন করে দুর্বৃত্তরা।

এ বিষয়ে সচেতন মহলের দাবি, পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যারা এ ধরনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন আমি এ থানার নতুন বদলী হয়ে এসেছি। আমি আসার পরে একটি হত্যা ঘটনা ঘটেছে। বাকি হত্যা পূর্ববর্তী ওসির সময় হয়েছে। তবে আমি আইনশৃঙ্খলা শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আড়াই মাসে ৫ খুন; আইন শৃঙ্খলার অবনতি

তারিখ : ০৯:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

মোঃ শরিফ খান আকাশ ।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গত আড়াই মাসে পৃথক পৃথক খুনের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছরের ২২ আগষ্ট থেকে ৩ নভেম্বর এর মধ্যে ৫ টি আলাদা ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২ ও ৩ নভেম্বর তারিখে পরপর দুই দিনে দুটি খুন হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়ায়। এ ছাড়া বাকী ৩ টি ঘটনা ঘটেছে আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে।

এসব ঘটনার বেশির ভাগই আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতা ও পারিবারিক কলহের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া খুনের ঘটনার পর সামাজিকভাবে টাকার বিনিময় মীমাংসার চেষ্টা ও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার কারণে এসব ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। ফলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২ নভেম্বর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্বপন আহমেদ (৪০) নামে একজনকে মাদক ব্যবসায়ীরা কুপিয়ে হত্যা করে। স্বপন আহমেদ উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের ভাল্লক গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।

গত ৩ নভেম্বর গভীর রাতে মাছ চুরির সন্দেহে আনোয়ার হোসেন নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত জেলে আনোয়ার হোসেন উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ষাইটশালা গ্রামের মৃত্যু হোসেন মিয়ার ছেলে।

উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২২ আগস্ট দুপুরে গাছের সাথে বেঁধে চান্দলা গ্রামের সাত্তার খন্দকার এর ছেলে সাজ্জাত খন্দকার (১৭) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ২৯ আগস্ট বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজ্জাত খন্দকার মারা যায়।

এ ছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর মোঃ রাকিব (৩৫) ও ইমাম হোসেন (১৭) নামে একই দিনে দুটি ভিন্ন ঘটনায় ২ জন খুন হয়। রকিব উপজেলার সাহেবাবাদ মধ্যপাড়া গ্রামের আঃ বারেকের ছেলে।

দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার সাহেবাবাদ গ্রামে মোঃ রাকিব কে একই বাড়ির লোকজন মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর অবস্থায় ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এবং সাহেবাবাদ এলাকার মোঃ মান্নানের ছেলে ইমাম হোসেন কে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় খুন করে দুর্বৃত্তরা।

এ বিষয়ে সচেতন মহলের দাবি, পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যারা এ ধরনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন আমি এ থানার নতুন বদলী হয়ে এসেছি। আমি আসার পরে একটি হত্যা ঘটনা ঘটেছে। বাকি হত্যা পূর্ববর্তী ওসির সময় হয়েছে। তবে আমি আইনশৃঙ্খলা শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।