মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে কার্য্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও আনারস প্রতীকের নেতাকর্মীদের মারধর এবং হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বতস্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব আবু জাহের। সোমবার সকালে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসময় অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে প্রার্থী আলহাজ্ব আবু জাহের বলেন, উপজেলার মধ্যে ২৪ টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন, ওই কেন্দ্রগুলোতে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর খাঁন চৌধূরীর লোকজন জোর পূর্বক নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘোষনা দিয়েছে। এছাড়া উপ-নির্বাচনের দিন বহিরাগত লোকজন প্রবেশ করে জোর পূর্বক ব্যালট ছিনতাইসহ আনারস মার্কার নেতাকর্মীদের মারধরের ঘোষনা দেয়।
নির্বাচনী এলাকার প্রবেশ পথ কংশনগর মনোহরপুর গোমতী ব্রীজ, কৃষ্টপুর গোমতী বেরীবাঁধ, দক্ষিন শ্যামপুর মালাপাড়া সড়ক, সাইচাপাড়া রামনাগর সড়ক, দড়িয়ারপার ঈদগাহ, মীরপুর বাস স্ট্যান্ড, মাধবপুর বাস স্ট্যান্ড ও নাল্লা সুলতানপুর রাস্তা সমূহে র্যাব, পুলিশ বিজিবির সমন্বয়ে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহীনির চেকপোস্ট দাবী করেন তিনি।
আলহাজ¦ আবু জাহের আরো বলেন, আজকের দিন পর্যন্ত আনারস মার্কার সমর্থক ২৪ জন নেতামর্কীর উপর হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে আছে। ভাংচুর করা হয়েছে ৪টি গাড়ী, রোববার রাতে পুড়িয়ে দেয়ো হয়েছে একটি নির্বাচনী অফিস। সবগুলো ঘটনার বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে।
তিনি স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে আরো বলেন, ঝুঁকিপূর্ন ২৪টি কেন্দ্রে নির্বাচনের পূর্বদিন থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে পারলেই নির্বাচন সুষ্ঠ হবে। তাছাড়া ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গত নির্বাচনের মতো এবারো প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করতে হবে।
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর খাঁন চৌধূরী ১০ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিদ্যুতের খুটি প্রতি ৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। উপজেলার প্রতিটি দপ্তরে দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছিলো। তিনি মনে করেন সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আনারস প্রতীক বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, মো জালাল উদ্দীন, জাকির হোসেনসহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য,ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহেরের মৃত্যুতে এ পদটি শুণ্য হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page