নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে তিন উপজেলার ২২ ইউনিয়নে আগামী ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে সাতটিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন নৌকার প্রার্থীরা।
এমনকি জেলার লাকসাম উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের সবকয়টি পদেও একক প্রার্থীর কারণে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন। এ প্রার্থীদের সবাই সরকার দলীয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্বাচনি আসন হলো লাকসাম (কুমিল্লা-৯)। ইউনিয়নগুলো হলো- গোবিন্দপুর, উত্তরদা, লাকসাম পূর্ব, কান্দিরপাড় ও আজগরা।
জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, ২২ ইউনিয়নের মধ্যে লাকসাম ছাড়া মেঘনা ও তিতাস উপজেলার ১৫ ইউপিতে চেয়ারম্যান এবং ১৭টি সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জেলার তিতাস উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে কড়িকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের পথে। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তবে এই উপজেলার বাকি আট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
অপরদিকে, মেঘনা উপজেলায় আট ইউনিয়নের মধ্যে চন্দনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আসাদুল্লাহ মাস্টার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের পথে। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি। বাকি সাত ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে সাত জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। পাশাপাশি এই উপজেলার তিন ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জানান, তিন উপজেলার ২২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯৪ বৈধ প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ১৪ জন। সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৪৭৪। আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী ১৪৫ জন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য পদে ৬১ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page