মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
দিনভর রোজা পালন শেষে ইফতারিতে ‘ভেজালমুক্ত’ হিসেবে কী খাবেন তা নিয়ে রোজাদারের মনে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইফতারির অপরিহার্য উপকরণের মধ্যে রয়েছে ছোলা, পিয়াজু, বেগুনি, মুড়ি ও জিলাপি। এর প্রতিটিই ভেজালের শিকার। মুড়ি ছাড়া ইফতার অকল্পনীয়। সেই মুড়িকে সাদা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্যানারিতে ব্যবহার্য বিষাক্ত রাসায়নিক সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড। বড় বড় দানার মুড়ি তৈরি করা হয় রাসায়নিক সার দিয়ে।
জিলাপি দীর্ঘক্ষণ মচমচে রাখতে ব্যবহৃত হচ্ছে পোড়া মবিল। ভাজাপোড়ায় ব্যবহৃত তেল কড়াই থেকে আদৌ কোনো দিন সরানো হয় কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। বেগুনি, পিয়াজু, চাপ ইত্যাদি তেলেভাজা ইফতারি সামগ্রী আকর্ষণীয় করতে ব্যবহৃত হচ্ছে ক্ষতিকারক কাপড়ে ব্যবহৃত কেমিক্যাল রং।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রমজানের ৫ম দিনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আদর্শ সদর উপজেলার শিবের বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেলে পর্যন্ত এ অভিযানে ইফতারি সামগ্রীতে ক্ষতিকারক কাপড়ের রং ব্যবহার করায় মেসার্স গ্রাম বাংলা রেস্তোরাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া রং দিয়ে প্রস্তুতকৃত সকল খাদ্য ধ্বংস করা হয় এবং সকল রংয়ের কৌটা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও শিবের বাজার এলাকায় ব্যসায়ীদের ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়, মুদি দোকানীদের মূল্য তালিকা ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়।
অভিযানে ব্যবসায়ীদের পাকা ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। রমজানে অযাচিতভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা না হয় সে ব্যপারে ব্যবসায়ীদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলাম এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এসময় জনস্বাস্থ্য পরিদর্শক একে আজাদ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।