কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ জন মারা যাচ্ছেন। ১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে ৭ মে (শুক্রবার) পর্যন্ত কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য পর্যালোচন করে এ পরিসংখ্যান জানা গেছে।
তথ্য মতে, জেলায় গত ৩৬ দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৬ জন। মার্চ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত কুমিল্লায় সর্বমোট প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ২৮৮ আর শুক্রবার পর্যন্ত এ মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, মারা গেছেন আরও একজন।
এদিকে কুমিল্লায় করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় শনাক্তের হার কিছু কমে আসলেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করছেন বেশির ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগী। এদের মধ্যে বেশির ভাগই পঞ্চাশোর্ধ।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন জানান, নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাস শুধু বয়স্কদের নয়, শিশুদেরকেও মারাত্মক ভাবে আক্রমণ করছে। শিশুদের বিষয়েও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আর কুমিল্লায় সংক্রমণ না কমলে মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব নয়। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে গত কয়দিন ধরে ঈদ শপিংকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার বিভিন্ন শপিংমলও ফুটপাতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। দিন দিন এ ভিড় বাড়ছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও মাস্ক ছাড়াই শিশুদের নিয়ে ঈদ মার্কেটে আসছেন বাবা-মায়েরা। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা বারবার বলা হলেও মানা হচ্ছে না এ নির্দেশনা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, মাস্ক ছাড়া শিশুদের নিয়ে ঈদবাজারের মত জনবহুল এলাকায় যাওয়া খুবই বিপজ্জনক। অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। কোনোভাবেই করোনাকে অবহেলা করা যাবে না।
সূত্র- জাগো নিউজ।।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page