মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লার বরুড়ার লক্ষীপুর ইউনিয়নে রাতের আঁধারে এক নৈশ প্রহরীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে এ খুনের ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া ব্যক্তি নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের দোকানি বাড়ির বাসিন্দা আবুল হাশেম (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আবুল হাশেম এলাকার নলুয়া চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ডে দীর্ঘ দিন ধরে নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিছু দিন আগে এলাকার বাবুল মিয়া(৫০) নামের এক ব্যাক্তির সাথে আবুল হাশেমের কথা কাটাকাটি হয়।
নিহত আবুল হাশেমের ভাগ্নে জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার মামা আবুল হাশেম নৈশ প্রহরীর কাজ করেন। তার সাথে কাজ করেন সুরুজ মিয়া। শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে আমার মামা ও সুরুজ মিয়া বাজারে একপাশে আগুন জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকার বাবুল মিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এত রাতে বাস স্ট্যান্ডে আসার কারণ জানতে চাইলে বাবুল মিয়া আমার মামা নৈশ প্রহরী আবুল হাশেমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এক পর্যায়ে বাবুল মিয়া ও আবুল হাশেমের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে আবুল হাশেম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান।
সুরুজ মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, ওই ঘটনা দেখার পর সুরুজ মিয়া খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, নলুয়া চাঁদপুর বাজারের নৈশ প্রহরী আবুল হাশেম রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টা বা ১ টার দিকে বাজারে আগুন পোহাচ্ছিলেন। ওই সময় বাজারে পাশের বাড়ির বাবুল মিয়াকে বাজারে দেখেন নৈশপ্রহরী আবুল হাশেম। এক পর্যায়ে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে হঠাৎ আবুল হাশেম মাটিতে পড়ে যান বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি আরো জানান, আমরা মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক কলেজে পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন মামলা জমা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
নিহত আবুল হাশেমের ভাগ্নে জহিরুল ইসলাম বলেন আমরা স্বাক্ষী নিয়ে থানার দিকে যাচ্ছি। আমরা মামলা করবো।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page