০৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় মা-মেয়ে খুন, সিসিটিভি ফুটেজে রহস্যজনক ব্যক্তির প্রবেশ-প্রস্থান ব্রাহ্মণপাড়ায় বিশুদ্ধ পানির নামে অস্বাস্থ্যকর পানি বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের হত্যাকাণ্ড: র‌্যাবের হাতে একজন আটক কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কুমিল্লা একটি বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের লাশ উদ্ধার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে উঠান বৈঠকে হাসনাত আব্দুল্লাহ “হোন্ডা গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না” বুড়িচংয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ পালিত দেবিদ্বারে চার দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের গণছুটি কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাদ থেকে পড়ে মুয়াজ্জিনের করুণ মৃত্যু

কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে মারধরের পর পুকুরে মিলল যুবকের মরদেহ

  • তারিখ : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • 6

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার চান্দিনায় হত্যার পর আরমান হোসেন জনি নামে এক যুবকের লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আরমান হোসেন জনি পাশ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি পিকআপচালক ছিলেন।

নিহতের বাবা মজিবুর রহমান জানান, ছয় মাস আগে উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে জনির বিয়ে হয়। শিল্পী আক্তারের আগে বিয়ে হয়েছিল, তার সন্তানও রয়েছে। জনিকে বিয়ের পরও শিল্পী তার আগের স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করত। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

তিনি আরও জানান, ১০ দিন আগে শিল্পী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। শনিবার বিকালে জনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। রোববার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জনির হাত-পা বেঁধে মারধর করে। রাত ১০টার দিকে ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে কাবিনের টাকা ও অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলে তাকে। সকালে শুনি জনির লাশ কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুরে পাওয়া গেছে।

মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শিল্পীর বাবার বাড়ির লোকজন জনিকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।

তবে নিহতের স্ত্রী শিল্পী আক্তারের দাবি, জনি মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করায় এলাকার লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে তার শ্বশুরকে ফোন করেন। রাত ১টার দিকে তার স্বামী শিকল খুলে পালিয়ে যান। পরদিন দুপুর ১২টায় তার স্বামীর লাশ একটি পুকুরে পাওয়া যায়।

চান্দিনা থানার এসআই রাকিব হাসান জানান, নিহতের নাক, কান ও চোখে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।

চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে মারধরের পর পুকুরে মিলল যুবকের মরদেহ

তারিখ : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার চান্দিনায় হত্যার পর আরমান হোসেন জনি নামে এক যুবকের লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আরমান হোসেন জনি পাশ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি পিকআপচালক ছিলেন।

নিহতের বাবা মজিবুর রহমান জানান, ছয় মাস আগে উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে জনির বিয়ে হয়। শিল্পী আক্তারের আগে বিয়ে হয়েছিল, তার সন্তানও রয়েছে। জনিকে বিয়ের পরও শিল্পী তার আগের স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করত। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

তিনি আরও জানান, ১০ দিন আগে শিল্পী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। শনিবার বিকালে জনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। রোববার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জনির হাত-পা বেঁধে মারধর করে। রাত ১০টার দিকে ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে কাবিনের টাকা ও অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলে তাকে। সকালে শুনি জনির লাশ কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুরে পাওয়া গেছে।

মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শিল্পীর বাবার বাড়ির লোকজন জনিকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।

তবে নিহতের স্ত্রী শিল্পী আক্তারের দাবি, জনি মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করায় এলাকার লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে তার শ্বশুরকে ফোন করেন। রাত ১টার দিকে তার স্বামী শিকল খুলে পালিয়ে যান। পরদিন দুপুর ১২টায় তার স্বামীর লাশ একটি পুকুরে পাওয়া যায়।

চান্দিনা থানার এসআই রাকিব হাসান জানান, নিহতের নাক, কান ও চোখে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।

চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।