মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বাবার কাছে বকেয়া থাকা ৪৫০ টাকার জন্য সাহেদ হোসেন ওরফে শান্ত নামের এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী ভৈরবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে শুক্রবার রাতে এ ঘটনার ভিডিও-ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কিশোরের বাবা ইউসুফ মিয়া শুক্রবার (৬ মে) চারজনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই এ মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে বুড়িচং থানা পুলিশ।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আলম বলেন, উপ-পরিদর্শক (এস আই) শরীফ রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি একজনকে প্রেফতারে মাঠে কাজ করছে আমাদের টিম। শিগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে। শনিবার (৭ মে) তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এ ঘটনায় প্রেফতাররা হলেন- নাহিদুল ইসলাম (২০), নাজমুল হোসেন (২৩), জসিম উদ্দিন (২৭)।
বুড়িচং থানা ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, শান্ত বাকশীমূল ইউনিয়নের ভৈরবপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে। কিছুদিন আগে সাহেদ হোসেন শান্তর (১৪) বাবা ইউসুফ মিয়া একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে নাহিদুলের কাছ থেকে একটি খাট ক্রয় করেন। এতে ৪৫০ টাকা বকেয়া ছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ী নাহিদুল তাদের বাড়ি গিয়ে বকেয়া টাকার জন্য গালমন্দ করে। এতে ইউসুফ মিয়া সপ্তাহ খানেক পরে টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানান।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে ৩ মে ঈদের দিন বিকেলে ইউসুফের ছেলে শান্তকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে নাহিদুল ও তার সঙ্গীরা। এঘটনার ভিডিও-ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
নির্যাতনের শিকার শান্তর বাবা ইউসুফ মিয়া জানান, ঈদের দিন শান্ত ঘুরতে বের হলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাহিদুল, তার ভাই নাজমুল ও সঙ্গে থাকা আনোয়ার ও জসিম শান্তকে তার বন্ধুদের সামনে থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টানা-হেঁচড়া করে নাজমুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে অমানবিক নির্যাতন করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন মারধরের ভিডিও ও ছবি তুলে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ সেখান থেকে শান্তকে উদ্ধার করে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page