০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী নারীর জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি কুমিল্লায় সবুজের স্বপ্নপুরিতে টিফিনের টাকায় ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ কুমিল্লায় নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর কুবিতে হাল্ট প্রাইজের নতুন আয়োজক কমিটি ঘোষণা কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার কুমিল্লায় অপহরণের ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি একমাত্র ছেলে, বাকরুদ্ধ বাবা-মা বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনায় কুমিল্লায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত বুড়িচংয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা থেকে পথ ভুলে গাইবান্ধা; ওসির মানবিকতায় ২ মাস পর বাড়ী ফিরলেন ভারসাম্যহীন নারী

  • তারিখ : ১০:২৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • 46

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে পথ ভুলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আসা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে ওই নারীকে তার মা ও ভাইয়ের হাতে তুলে দেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম।

৩০ বছর বয়সি মাইনুর বেগম বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামের হিরণ বাদশার স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দীনের মেয়ে।

ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের কদমতলী এলাকায় ভারসাম্যহীন ওই নারী অস্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর থেকে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই নারীকে উদ্ধার করে। রোববার সাদুল্লাপুর আমলি আদালতে তাকে হাজির করা হয়।

বিচারক সাদুল্লাপুর থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের এসআই মোছা. সামসুন্নাহার লতার তত্ত্বাবধানে ওই নারীকে রেখে তার স্বজনদের খোঁজ করার নির্দেশ দেন বলে জানান ওসি।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী এলোমেলো কথা বলার এক পর্যায়ে তার ছবি সারাদেশের ওসিদের নিয়ে করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয় বলে জানান শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “তবে ওই নারী তার বাড়ি বুড়িচং থানায় বলেন। পরে বুড়িচং থানা পুলিশ বিশেষভাবে তার স্বজনদের খোঁজখবর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়।”

তিন সন্তানের জননী মাইনুর বেগম সম্প্রতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন বলে জানান তার মা ফয়জুন নেছা।

তিনি বলেন, “প্রায় দুই মাস আগে স্বামীর বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় মাইনুর। এরপর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করেও তার আর সন্ধান পাইনি। আমার মেয়েকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি যে মানবিকতা দেখিয়েছেন সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

বোনকে ফিরে পেয়ে সাদুল্লাপুর ও বুড়িচং থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, “পুলিশের মানবিক সহায়তায় বোনকে পেয়েছি। তাদের এ ঋণ শোধ করার মত নয়।”

error: Content is protected !!

কুমিল্লা থেকে পথ ভুলে গাইবান্ধা; ওসির মানবিকতায় ২ মাস পর বাড়ী ফিরলেন ভারসাম্যহীন নারী

তারিখ : ১০:২৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে পথ ভুলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আসা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে ওই নারীকে তার মা ও ভাইয়ের হাতে তুলে দেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম।

৩০ বছর বয়সি মাইনুর বেগম বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামের হিরণ বাদশার স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দীনের মেয়ে।

ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের কদমতলী এলাকায় ভারসাম্যহীন ওই নারী অস্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর থেকে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই নারীকে উদ্ধার করে। রোববার সাদুল্লাপুর আমলি আদালতে তাকে হাজির করা হয়।

বিচারক সাদুল্লাপুর থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের এসআই মোছা. সামসুন্নাহার লতার তত্ত্বাবধানে ওই নারীকে রেখে তার স্বজনদের খোঁজ করার নির্দেশ দেন বলে জানান ওসি।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী এলোমেলো কথা বলার এক পর্যায়ে তার ছবি সারাদেশের ওসিদের নিয়ে করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয় বলে জানান শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “তবে ওই নারী তার বাড়ি বুড়িচং থানায় বলেন। পরে বুড়িচং থানা পুলিশ বিশেষভাবে তার স্বজনদের খোঁজখবর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়।”

তিন সন্তানের জননী মাইনুর বেগম সম্প্রতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন বলে জানান তার মা ফয়জুন নেছা।

তিনি বলেন, “প্রায় দুই মাস আগে স্বামীর বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় মাইনুর। এরপর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করেও তার আর সন্ধান পাইনি। আমার মেয়েকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি যে মানবিকতা দেখিয়েছেন সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

বোনকে ফিরে পেয়ে সাদুল্লাপুর ও বুড়িচং থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, “পুলিশের মানবিক সহায়তায় বোনকে পেয়েছি। তাদের এ ঋণ শোধ করার মত নয়।”