স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে পথ ভুলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আসা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে ওই নারীকে তার মা ও ভাইয়ের হাতে তুলে দেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম।
৩০ বছর বয়সি মাইনুর বেগম বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামের হিরণ বাদশার স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দীনের মেয়ে।
ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের কদমতলী এলাকায় ভারসাম্যহীন ওই নারী অস্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর থেকে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই নারীকে উদ্ধার করে। রোববার সাদুল্লাপুর আমলি আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
বিচারক সাদুল্লাপুর থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের এসআই মোছা. সামসুন্নাহার লতার তত্ত্বাবধানে ওই নারীকে রেখে তার স্বজনদের খোঁজ করার নির্দেশ দেন বলে জানান ওসি।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী এলোমেলো কথা বলার এক পর্যায়ে তার ছবি সারাদেশের ওসিদের নিয়ে করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয় বলে জানান শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “তবে ওই নারী তার বাড়ি বুড়িচং থানায় বলেন। পরে বুড়িচং থানা পুলিশ বিশেষভাবে তার স্বজনদের খোঁজখবর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়।”
তিন সন্তানের জননী মাইনুর বেগম সম্প্রতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন বলে জানান তার মা ফয়জুন নেছা।
তিনি বলেন, “প্রায় দুই মাস আগে স্বামীর বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় মাইনুর। এরপর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করেও তার আর সন্ধান পাইনি। আমার মেয়েকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি যে মানবিকতা দেখিয়েছেন সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
বোনকে ফিরে পেয়ে সাদুল্লাপুর ও বুড়িচং থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, “পুলিশের মানবিক সহায়তায় বোনকে পেয়েছি। তাদের এ ঋণ শোধ করার মত নয়।”
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page