ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হলসমূহের শূন্য আসনের বিপরীতে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে সিট বণ্টনসহ ১৬ টি নীতিমালা প্রকাশ করেছে হল প্রভোস্ট কমিটি। এছাড়াও ব্যাচ অনুযায়ী আসন বণ্টন করার কথা জানিয়েছে তারা।
গতকাল (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রভোস্ট কমিটির স্বাক্ষরিত এক নীতিমালায় এসব তথ্য জানা যায়।
নীতিমালায় সিট বণ্টনে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে যা মোট শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ। এছাড়াও দ্বিতীয় বর্ষে ২০ শতাংশ , তৃতীয় বর্ষে ১৫ শতাংশ, চতুর্থ বর্ষে ১০ শতাংশ, মাস্টার্সের ৫ শতাংশ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিকৃত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ১০ শতাংশ সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
অন্যান্য নীতিমালাগুলো হলো; আবাসিক হলে সংযুক্ত নিয়মিত শিক্ষার্থী আবাসিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। পিএইচডি, এমফিল বা সমমানের ডিগ্রি, প্রফেশনাল মাস্টার্স, ইভিনিং/উইকেন্ড মাস্টার্স, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হলে আসন বরাদ্দ করা হবে না, শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্ধারিত ফরম প্রিন্ট করে অথবা হল অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণের মাধ্যমে হলের আসনের জন্য আবেদন করতে হবে।
পূরণকৃত ফরম স্ব-স্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশসহ হল অফিসে জমা দিতে হবে, নিয়মিতভাবে হলসমূহে শূন্য আসনের বিপরীতে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে, হল কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ও বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম ও কক্ষ বণ্টন তালিকা প্রকাশ করবেন, নির্বাচিত শিক্ষার্থী হল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দিষ্ট সময়ে আবাসিকতা নিশ্চিতে হল জামানত ও অন্যান্য নির্দিষ্ট ফি প্রদান না করলে আবাসিকতা বাতিল করা হবে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনোভাবেই কক্ষ কিংবা সিট পরিবর্তন করতে পারবে না, শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে নিয়োজিত অথবা মাদকাসক্ত প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, শিক্ষার্থীর মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা (ভাইভা) সমাপ্তির পরবর্তী সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের নিকট রিপোর্ট করে হল ছাড়তে বাধ্য থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক ক্লাস, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী হল কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি কিংবা গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত একটানা ৩০ (ত্রিশ) দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তার আবাসিকতা বাতিল করা হবে, কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিট বরাদ্দ নিলে অথবা একজনের নামে সিট বরাদ্দ নিয়ে অন্যজন অবস্থান করলে এবং তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর আবাসিকতা বাতিল করা হবে।
কোনো যুক্তিসংগত কারণে কোনো শিক্ষার্থীর আসন বাতিল হলে পরবর্তীতে সেই শিক্ষার্থী আর আবেদনের জন্য বিবেচিত হবে না, আসন বরাদ্দের নীতিমালা আবেদন ফরমের পিছনে স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকবে, আসন বরাদ্দ এবং শৃঙ্খলা বিষয়ক যেকোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে, এই নীতিমালায় বিশেষভাবে বিবৃত হয় নাই এইরূপ বিরোধ দেখা দিলে প্রভোস্ট কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে, এই নীতিমালা প্রয়োজনে প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে পরিমার্জন ও সংশোধন করা যাবে।
এছাড়াও গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী এর উপস্থিতিতে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরের সমন্বয়ে গঠিত প্রভোস্ট কমিটির এক সভা শিক্ষার্থীদের হল আবাসিকতা বিষয়ে ৯ টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page