কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র অর্থ-সম্পাদক ইকবাল মনোয়ার ছাত্রলীগ নিয়ে ‘কটুক্তি’ করার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুবি শাখা ছাত্রলীগের (রেজা-স্বজন) একাংশ।
বুধবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। পরে লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেনর সঞ্চালনায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন।
শাখা ছাত্রলীগের রেজা-স্বজন গ্রুপের স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, আজকে মানববন্ধনের প্রধান বিষয় মনোয়ার ইকবাল। সে ছাত্রলীগকে হুমকি প্রদান করেছে। সে বলেছে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতারিত করবে। সে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিবে না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সবাইকে বলতে চাই, আপনারা নিজেদের উপর সম্পূর্ণ দোষ নিবেন না। এখানে একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এই মানববন্ধন। আপনারা নিজেদের উপর দায় নিয়ে এই সংগঠনকে কলুষিত করবেন না। যারা ছাত্রলীগকে কলুষিত করতে আসবে তাদেরকে দাত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে তাদের বিচার করা হবে। যারা মনে করে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতারিত করবে তাদের বলতে চাই ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর পায়ের রক্তের উপর দিয়ে হেটে চলে এদেরকে বিতারিত করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী রেজা-ই-ইলাহী বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকরা ছাত্রলীগের ভালো ভালো কাজগুলো মিডিয়ায় ফোকাস করেন না। আপনারা দুই একজন সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ে, দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন। তাদেরকে সাবধান করে দিতে চাই। সাংবাদিকতা একটা মহৎ পেশা। একজনের জন্য সবাই কাধে দোষ নিবেন না। একজনের জন্য সবাই কলুষিত হবেন না। যে দোষ করেছে, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করেন। যে দোষী তাকে দোষী হিসেবেই সাব্যস্ত করবেন। আপনারা নিউজের মাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে ক্যাম্পাসকে কলুষিত করবেন না। যারা দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হচ্ছে সরকারের একটা প্রথম সারির সংগঠন। আপনারা ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলবেন না এতে প্রত্যেকটা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর রক্ত ক্ষরণ হয়।’
এ মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ নেতা মাহি হাসনাইন, মো.আমিনুর রহমান বিশ্বাস, ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ, লাকিয়া কবির সহ বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, “এই বিচার মানি না। আমাদের ডিপার্টমেন্টের ইস্যুতে ছাত্রলীগ কীভাবে আসে দেখে নিবো।” কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর মারামারির ‘মীমাংসা’ হতে যাওয়া ঘটনা না মেনে বিভাগের সিনিয়র হিসেবে এমন মন্তব্য করেছিলেন দৈনিক যায়যায়দিনের কুবি প্রতিনিধি রুদ্র ইকবাল ওরফে ইকবাল মনোয়ার। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ (রেজা-স্বজন) ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির মধ্যে উচ্চবাচ্যের ঘটনা ঘটেছিল।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page