স্টাফ রিপোর্টার:
জি ফোর এস কুমিল্লা অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার আতাউল্লা চৌধুরীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সরেজমিনে বিভিন্ন পোস্টে পরিদর্শনে না গিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ে অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে একটি তদন্ত টিম তদন্ত করে গেছে বলে জানা গেছে।
বিগত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর কুমিল্লা অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার আতাউল্লা চৌধুরী, আব্দুল্লাহ কাফি ও আহসানুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়।
লিখিথ অভিযোগে জানা যায়, কুমিল্লা অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার আতাউল্লা চৌধুরী গত হরতালের সময় বিগত ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর বিভিন্ন পোষ্টের ভিজিটের নাম দিয়ে অফিসে বসে ভিজিট না করে লোকাল কনভেনস বিল সি.এন.জি, অটোরিক্সা ও বাস বিল করে ১ হাজার ৫৯০ টাকা।
একই বছরের ১৫ নভেম্বর গৌরিপুর, ইলিয়টগঞ্জ , মদনপুর, নরসিংদী, কিশোরগন্জ এই জায়গাগুলোর নামে জায়গাগুলোতে না গিয়ে বিল করেছে ৷ পোষ্ট ভিজিটের নামে বিল করেন ১ হাজার ৩৯২ টাকা, মোট বিল হলো ২টি মিলে ২ হাজার ৯৮২ টাকা । ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর না গিয়ে লিখেছে ১৫/১১/২০২৯ সাল।
এই ভাবে কুমিল্লা অফিসের ০৩ জন অফিসার বিল করেছে ৷ আবদুল্লাহ্ কাফি বিল করেছে ০২/১১/২০২৩ ইং তারিখে ১ হাজার ৬৪০ টাকা চাঁদপুর, লক্ষিপুর, নোয়াখালী, ফেনী এই জায়গাগুলোতে না গিয়ে বিল করেছে ।
২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর বি: বাড়ীয়া , পাচঁদোনা নরসিংদী মদনপুর, ব্যাক কুমিল্লা অফিস এই বিলটি হলো ১ হাজার ৩৫০ টাকা।মোট লোকাল কনভেনস বিল হলো ২ হাজার ৯৯০ টাকা ।
আহসানুর রহমান এইভাবে বিল করেছে। তারা ৩ জন এইভাবে বিভিন্ন পোস্টের নাম দিয়ে না গিয়ে ১২/১১/২০২৩ ইং তারিখে বিল করেছে ১ হাজার ৬২৫ টাকা।
এ অফিসের সাবেক সিনিয়র অফিস বয় গাজী এরশাদ জানান, আমি অফিসের নানা অনিয়মের বিষয়ে ঢাকা হেড অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি।কিন্তু দুর্ণীতির সুষ্ঠ তদন্ত হয়নি। বরং এ অভিযোগ করার পর উল্টো আমাকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য করে।
এই বিষয়ে কুমিল্লা অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার আতাউল্লা চৌধুরী বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। এ কোম্পানিতে এক টাকা দুর্ণীতি হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি এক টাকাও দুর্ণীতি করে তা তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যারা অনিয়ম করে চাকরিচ্যুত হয়, তারাই এসব অভিযোগ করে।