
স্টাফ রিপোর্টার।।
ঢাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেন (২৪)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আরমানিটোলায় টিউশনি বাসার সিঁড়িতে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সভাপতি ছিলেন।
জুবায়েদ কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে এবং হোমনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের ভাতিজা।
জুবায়েদের বন্ধু অনিক জানান, “সন্ধ্যায় টিউশনি করতে গিয়েছিল সে। বাসার সিঁড়িতে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান।”
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ছয়তলাবিশিষ্ট ভবনের তৃতীয় তলার সিঁড়িতে জুবায়েদকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার গলায় ও শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। গায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোসংবলিত জার্সি পরা ছিল, যাতে তার নাম লেখা ছিল।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উদ্ধার করা হবে। হত্যার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, “আমি খবরটি পেয়েছি। অত্যন্ত মর্মাহত। এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।”
জুবায়েদের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হোমনা উপজেলা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সহপাঠী, শিক্ষক, রাজনৈতিক সহকর্মী এবং হোমনা উপজেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
নিহতের চাচা সাংবাদিক আক্তার হোসেন বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
জবি ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমাদের সহকর্মী জুবায়েদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার দাবি করছি।”