
স্টাফ রিপোর্টার।।
দেশবরেণ্য বাউল শিল্পী ফজলুর রহমান বাবুল আর নেই। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় বরিশালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর।
ফজলুর রহমান বাবুলের পৈতৃক নিবাস বরিশাল হলেও তার শৈশব, বেড়ে ওঠা ও সংগীতচর্চার পুরো সময়টিই কেটেছে কুমিল্লায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবারসহ কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকায় বসবাস করতেন। জীবিকার পাশাপাশি সেখানেই পরিচালনা করতেন ছোট্ট একটি চায়ের দোকান।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বাবুল ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম। যে কোনো অনুষ্ঠানে গানের জন্য ডাক পড়লে কখনও ফিরিয়ে দিতেন না তিনি। লোকসংগীত, বাউল ও পালাগানের প্রতি তার একাগ্রতা তাকে কুমিল্লা অঞ্চলের বাউল শিল্পীদের মধ্যে বিশেষ স্থান এনে দেয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হঠাৎ স্ট্রোক করলে তাকে কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মী ও পরিবার মিলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর সম্প্রতি বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বরিশাল যান। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তার দাফন সম্পন্ন হবে বরিশালে বাবা-মায়ের কবরের পাশে।
তার মৃত্যুতে কুমিল্লা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
শোক প্রকাশ করেছেন অধুনা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল হক স্বপন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল, ‘অভিবাদন’ সম্পাদক আবুল হাসনাত বাবুল, সাবেক কালচারাল অফিসার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর উল আনোয়ার, নাট্যজন শাহাজাহান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক খন্দকার হুমায়ুন কবির, কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ শামীম হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক কমল চন্দ খোকন, অধুনার সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, নৃত্য প্রশিক্ষক জাহিদুর রহমান মামুন, এবং আদিশ্বর বাউল গোষ্ঠীর পরিচালক তানিম আহমেদ প্রমুখ।
তারা সবাই মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।