নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষার যে অর্জন তা তুলে ধরতে হবে -কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান

নেকবর হোসেন।।
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লার উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিলো কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও বাদ যোহর শিক্ষাবোর্ড জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠাত হয়। ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

সকাল ৭টায় সকল কর্মকর্তা কর্মচারী প্রভাত ফেরী করে কুমিল্লা টাউন হলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সেখানে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ফিরে এসে শিক্ষাবোর্ড প্রাঙ্গনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পূস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

সকাল ৮টায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কলেজ পরিদর্শক ও ২১ উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বোর্ডের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন-“একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় ও ঐতিহাসিক দিন। বাঙালির জাতীয় জীবনের সকল চেতনার উৎস হচ্ছে এ দিনটি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্যে জীবন দিয়ে বাঙালি জাতি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে প্রয়োগ করতে হবে। সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষার যে অর্জন তা তুলে ধরতে হবে। ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিশ্বের প্রায় ১৮৮ টি দেশে আজ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। এটাই আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। বর্তমান সরকার বাংলাভাষাকে সর্বস্তরে প্রচলনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে”।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ তাঁর বক্তব্য বলেন – বাঙালি জাতির জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম অর্জন ২১ ফেব্রুয়ারি। যার মাধ্যমে আমাদের মায়ের ভাষা মধুর ভাষা অর্জিত হয়েছে। ভাষার জন্য কোনো জাতি আন্দোলন করেছে বা প্রাণ দিয়েছে, বিশ্বে এমন নজির বিরল। প্রতিটি দেশ বা জাতির জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য গৌরবের বিষয় থাকে। তেমনি আমাদের গৌরবের বিষয় মহান একুশ। একুশের চেতনা বহন করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন ভূখ- পেয়েছি।

যা আজ বিশ্বে পরিচিত ও প্রশংসিত। অর্থাৎ আজ যে বাংলাদেশ, তা একুশের চেতনার অর্জন। একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের অহঙ্কার। মায়ের ভাষার অধিকার আদায় করতে বাঙালি জাতির অনেক সূর্য সন্তান তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে একুশের প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ।

এ সময় আরও আলোচনা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান, বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো. আজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (হি: ও নি:) মোহাম্মদ ছানাউল্যাহ,সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ আবদুর রশীদ, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) ড.মোঃ সফিকুল ইসলাম, উপ-সচিব (প্রশাসন) একেএম সাহাবউদ্দিন, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহিদুল হক, উপসচিব (একাডেমিক) মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উচ্চ মাধ্যমিক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সিষ্টেমস্ এনালিষ্ট প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র মল্লিক,(চেয়ারম্যান সচিব) সুমন রায়, শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারীর পরিষদের সাধারন সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন যুন্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সাহাব উদ্দিন ,কোষাধ্যক্ষ মোঃ নাইম হোসেন জনিসহ বোর্ডের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী।

বাদ জোহর বোর্ড জামে মসজিদে ভাষা শহীদ সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page