পদত্যাগ নিয়ে নাটক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
পদত্যাগ নিয়ে রহস্য তৈরি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। গত ১১ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রেরিত একটি পদত্যাগপত্র থেকে জানা যায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। যেখানে ওইদিন অপরাহ্ন থেকে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলেও এখনো পদত্যাগ করেননি উপাচার্য। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গত ১৩ আগস্ট তাঁর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তিনি পদত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির। উপ-উপাচার্য যাতে এ দায়িত্ব নিতে না পারে সেইজন্য তিনি পদত্যাগ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

গতকাল গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঢাবিসহ ১৬ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। যেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কথা উল্লেখ নেই।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১১ আগস্ট উপাচার্য পদত্যাগপত্র লিখলেও সেটা তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এখনো জমা দেয়নি।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, উনি আমার কাছে অফিসিয়ালি পদত্যাগপত্রটি পাঠাইনি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও জমা দেয়নি। পদত্যাগপত্রে ১১ আগস্ট অপরাহ্ন থেকে তিনি পদত্যাগ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু আমি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ড্রাফট কপি। এটা নিয়ে আমি বিভ্রান্ততে পড়ে গেছি। উনি এখানে কখনোই থাকতে পারবে না। যেহেতু আওয়ামীলীগ সরকার কতৃক উনি নিয়োগপ্রাপ্ত আর আওয়ামীলীগ সরকার এখন নেই উনিও থাকার কোন অধিকার রাখেন না। উনি আমার আন্ডারে না, উনি উপাচার্য সেইজন্য আমি ওনাকে পদত্যাগ করতেও বলতে পারিনা আবার থাকতেও বলতে পারি না।

পদত্যাগপত্র লিখেও কেন মন্ত্রণালয়ে জমা দেননি জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  

You cannot copy content of this page