০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রেজিস্টার অফিস স্থাপনের মধ্য দিয়ে ময়নামতি উপজেলা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু — ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন কুমিল্লায় র‍্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা ও স্কাফসহ ৩ জন গ্রেফতার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে ব্যবসায়ির মাছ নিধন কুমিল্লায় প্রেমিককে ৪ টুকরো করে হত্যা; দুই দিন পর মিলাদ ও খিচুড়ি বিতরণ বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ কুমিল্লা নগরীর কাঁটাবিলে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সদর আসনের প্রার্থী রিয়াদের সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত

ফেসবুকে দুধনেহের’র ছবি ভাইরাল,খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির ইউএনও।

  • তারিখ : ০৪:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
  • 5

মনির খাঁন মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ১১৫ বছর বয়সের দুধনেহের নামে এক বৃদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোমবার ভাইরাল হয়।

সেই স্ট্যাটাসটি মুরাদনগর উপেেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের দৃষ্টিগোচর হলে দুপুরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন তিনি। জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের হতদরিদ্র ১১৫বছরের দুধনেহের বেগম তিন সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ, তার মাঝে এই করোনার মহামারীতে অভাবের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতবর্ষি এই বৃদ্ধা।

দুধনেহেরের আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে স্বামী মারা যান। ভিটেমাটি ছাড়া ছিল না কোন সম্ভল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অভাবের সংসারের হাল ধরেন দুধনেহের। দুধনেহেরের ছেলে আব্দুল হালিম জানায়, বাবার মৃত্যুর পর থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা আমাকে ও দুই বোনকে বড় করেছেন। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে একটি জরাজীর্ন ঘরের মধ্যে বসবাস করি আমরা। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি পরে। নেই কোন নিজস্ব টিওবওয়েল ও বাথরুম। করোনা ভাইরাসের কারনে কোন কাজে যেতে পারি না, তার মাঝে মা অসুস্থ। এই সময়ে খেয়ে বাঁচতে পারি না মায়ের চিকিৎসা করাব কিভাবে। মা তিনমাস পর পর যে বয়স্ক ভাতার টাকা পান তা দিয়ে উনার এক মাসের চিকিৎসাবাবদ ঔষধ কেনা যায় না। এই অবস্থায় সমাজের বৃত্তবান মানুষের সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ওই দরিদ্র পরিবারের বিষয়ে। তারপর তার বাড়িতে নিজে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেই। আগামীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ও তার পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে কি করা যায় সেটা দেখব। আর তার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে।

ফেসবুকে দুধনেহের’র ছবি ভাইরাল,খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির ইউএনও।

তারিখ : ০৪:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

মনির খাঁন মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ১১৫ বছর বয়সের দুধনেহের নামে এক বৃদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোমবার ভাইরাল হয়।

সেই স্ট্যাটাসটি মুরাদনগর উপেেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের দৃষ্টিগোচর হলে দুপুরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন তিনি। জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের হতদরিদ্র ১১৫বছরের দুধনেহের বেগম তিন সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ, তার মাঝে এই করোনার মহামারীতে অভাবের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতবর্ষি এই বৃদ্ধা।

দুধনেহেরের আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে স্বামী মারা যান। ভিটেমাটি ছাড়া ছিল না কোন সম্ভল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অভাবের সংসারের হাল ধরেন দুধনেহের। দুধনেহেরের ছেলে আব্দুল হালিম জানায়, বাবার মৃত্যুর পর থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা আমাকে ও দুই বোনকে বড় করেছেন। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে একটি জরাজীর্ন ঘরের মধ্যে বসবাস করি আমরা। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি পরে। নেই কোন নিজস্ব টিওবওয়েল ও বাথরুম। করোনা ভাইরাসের কারনে কোন কাজে যেতে পারি না, তার মাঝে মা অসুস্থ। এই সময়ে খেয়ে বাঁচতে পারি না মায়ের চিকিৎসা করাব কিভাবে। মা তিনমাস পর পর যে বয়স্ক ভাতার টাকা পান তা দিয়ে উনার এক মাসের চিকিৎসাবাবদ ঔষধ কেনা যায় না। এই অবস্থায় সমাজের বৃত্তবান মানুষের সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ওই দরিদ্র পরিবারের বিষয়ে। তারপর তার বাড়িতে নিজে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেই। আগামীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ও তার পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে কি করা যায় সেটা দেখব। আর তার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে।