১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভেকু জব্দ কুমিল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার আ’লীগের হামলায় আহত মহিলাদল নেত্রীকে দেখতে কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ খেলাধুলা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে -সফিকুর রহমান বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ইটভাটা উচ্ছেদ জয়পুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৬১ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন- ড. ইমরান আনসারী কোনো ষড়যন্ত্রই কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধন ভাঙতে পারবে না-হাজী ইয়াছিন

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য

  • তারিখ : ০২:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০
  • 362

ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনের ওপর টিকার প্রয়োগ শুরু হবে।

এর মধ্যেই চার কোটি টিকার জন্য চাহিদা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যা দিয়ে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। জনপ্রতি দুইটি করে ডোজ দেয়া হবে। খুব তাড়াতাড়ি এক কোটি টিকার ডোজ পাওয়া যাবে।

টিকা যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেখানে মাত্র ১০ মাসে এই টিকার আবিষ্কারের প্রক্রিয়া শেষ করা হলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও মানুষজনকে এখনো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য সতর্কতার নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে পালন করতে হবে।

এর মানে হলো, এখনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে উপসর্গ দেখা গিলেই পরীক্ষা করাতে হবে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে।

এখনও পর্যন্ত ছটি দেশে ৪৩,৫০০ জনের শরীরে ফাইজার ও বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখা যায়নি।

সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তার মধ্যে এই প্রথম এই টিকাটির এরকম সাফল্যের কথা জানা গেল।

এই টিকাটির ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়।

আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে টিকা দেওয়ার ফলে শরীরে এন্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার আরও একটি অংশ যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়। তিন সপ্তাহ ব্যবধানে এই টিকার দুটো ডোজ দিতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানবদেহে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

সূত্র- বিবিসি বাংলা

error: Content is protected !!

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য

তারিখ : ০২:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনের ওপর টিকার প্রয়োগ শুরু হবে।

এর মধ্যেই চার কোটি টিকার জন্য চাহিদা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যা দিয়ে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। জনপ্রতি দুইটি করে ডোজ দেয়া হবে। খুব তাড়াতাড়ি এক কোটি টিকার ডোজ পাওয়া যাবে।

টিকা যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেখানে মাত্র ১০ মাসে এই টিকার আবিষ্কারের প্রক্রিয়া শেষ করা হলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও মানুষজনকে এখনো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য সতর্কতার নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে পালন করতে হবে।

এর মানে হলো, এখনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে উপসর্গ দেখা গিলেই পরীক্ষা করাতে হবে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে।

এখনও পর্যন্ত ছটি দেশে ৪৩,৫০০ জনের শরীরে ফাইজার ও বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখা যায়নি।

সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তার মধ্যে এই প্রথম এই টিকাটির এরকম সাফল্যের কথা জানা গেল।

এই টিকাটির ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়।

আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে টিকা দেওয়ার ফলে শরীরে এন্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার আরও একটি অংশ যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়। তিন সপ্তাহ ব্যবধানে এই টিকার দুটো ডোজ দিতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানবদেহে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

সূত্র- বিবিসি বাংলা