১২:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সামিরা আজিমের গাড়িবহরে হামলা; দুই পক্ষে আহত ৩৫ কুমিল্লার বটবৃক্ষ ইয়াছিনকে সরাবেন না-তারেক রহমানের প্রতি নির্যাতিত পরিবারের আবেদন কুমিল্লায় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত দেবিদ্বারে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদের জনসংযোগ বিএনপির মধ্যে বিভাজন স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের কারণে – রশিদ আহমেদ হোসাইনী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল; ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল মৃত্তিকায় শীতের নির্মল ছোঁয়া বিভিন্ন স্থানে বিড়ালের চোখ তুলে নেয়া ও প্রাণি নির্যাতনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন

বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন দুই ছেলে, পথে ৪ জনই নিহত

  • তারিখ : ১০:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • 7930

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় প্রাইভেট কারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে নিহত চারজন ঢাকা থেকে কুমিল্লার বরুড়ায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত ওমর আলী এবং নুরজাহান বেগম বরুড়ায় নিজ বাড়িতেই বসবাস করতেন। মাস দুয়েক আগে ওমর আলী চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ ঢাকায় বড় ছেলের বাসায় যান। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার (২২ আগস্ট) বাবা ওমর আলী ও মা নুরজাহান বেগমকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাদের দুই ছেলে। পথিমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান সবাই।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিহত ওমর আলীর বড় মেয়ের স্বামী দেলোয়ার হোসেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার হোটেল নূরজাহান এলাকার ইউটার্নে প্রাইভেট কারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে নিহত হন একই পরিবারের চারজন।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়েল গাছা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), দুই ছেলে আবুল হাসেম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪৫)। বড় ছেলে আবুল হাসেম গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহত ওমর আলীর বড় ছেলে আবুল হাসেম স্বপনের বাসা রাজধানীর কল্যাণপুরে। নিজ ফ্ল্যাটেই থাকতেন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে। ব্যাংক এশিয়ার মিরপুর রুপনগর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক ছিলেন তিনি। দুই সন্তানের জনক তিনি। বড় মেয়ে রাজধানীর আজিমপুর ভিকারুন্নেসা স্কুল থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে আবুল কাশেম মামুন রাজধানীর মানিকগর এলাকার নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। তিনি এমএনজি নামক একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আবুল কাশেম মামুন দুই ছেলের জনক। তার বড় ছেলে শাহির আহমেদ আয়ান ৬ষ্ঠ শ্রেণিতো এবং ছোট ছেলে সাজিল আহমেদ আবরান প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

ওমর আলীর বড় মেয়ে হাসিনা আক্তার যমুনা ব্যাংকের দোলাইখাল শাখায় কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে রোকসানা আক্তার বিথি ডাচ বাংলা ব্যাংকের শ্যামলী ব্রাঞ্চে কর্মরত।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আনিসুল ইসলাম জানান, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। ঢাকা থেকে কুমিল্লার বরুড়ার নিজ গ্রামে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় ইউটার্নের কাছে এলে কাভার্ডভ্যানটির চালক প্রাইভেট কারটিকে বাঁচাতে ব্রেক করলে কাভার্ডভ্যানটি উল্টে প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সবার।

error: Content is protected !!

বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন দুই ছেলে, পথে ৪ জনই নিহত

তারিখ : ১০:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় প্রাইভেট কারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে নিহত চারজন ঢাকা থেকে কুমিল্লার বরুড়ায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত ওমর আলী এবং নুরজাহান বেগম বরুড়ায় নিজ বাড়িতেই বসবাস করতেন। মাস দুয়েক আগে ওমর আলী চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ ঢাকায় বড় ছেলের বাসায় যান। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার (২২ আগস্ট) বাবা ওমর আলী ও মা নুরজাহান বেগমকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তাদের দুই ছেলে। পথিমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান সবাই।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিহত ওমর আলীর বড় মেয়ের স্বামী দেলোয়ার হোসেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার হোটেল নূরজাহান এলাকার ইউটার্নে প্রাইভেট কারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়ে নিহত হন একই পরিবারের চারজন।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়েল গাছা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), দুই ছেলে আবুল হাসেম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪৫)। বড় ছেলে আবুল হাসেম গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহত ওমর আলীর বড় ছেলে আবুল হাসেম স্বপনের বাসা রাজধানীর কল্যাণপুরে। নিজ ফ্ল্যাটেই থাকতেন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে। ব্যাংক এশিয়ার মিরপুর রুপনগর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক ছিলেন তিনি। দুই সন্তানের জনক তিনি। বড় মেয়ে রাজধানীর আজিমপুর ভিকারুন্নেসা স্কুল থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে আবুল কাশেম মামুন রাজধানীর মানিকগর এলাকার নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। তিনি এমএনজি নামক একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আবুল কাশেম মামুন দুই ছেলের জনক। তার বড় ছেলে শাহির আহমেদ আয়ান ৬ষ্ঠ শ্রেণিতো এবং ছোট ছেলে সাজিল আহমেদ আবরান প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

ওমর আলীর বড় মেয়ে হাসিনা আক্তার যমুনা ব্যাংকের দোলাইখাল শাখায় কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে রোকসানা আক্তার বিথি ডাচ বাংলা ব্যাংকের শ্যামলী ব্রাঞ্চে কর্মরত।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আনিসুল ইসলাম জানান, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। ঢাকা থেকে কুমিল্লার বরুড়ার নিজ গ্রামে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় ইউটার্নের কাছে এলে কাভার্ডভ্যানটির চালক প্রাইভেট কারটিকে বাঁচাতে ব্রেক করলে কাভার্ডভ্যানটি উল্টে প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সবার।