
মো. বাছির উদ্দিন।।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় অবৈধ মাটি খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন) বিরোধী সাড়াশি অভিযানে একটি ড্রেজার মেশিন, তিন হাজার ফুট পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিনষ্ট করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর ইউনিয়নের ধান্যদৌল কাজী মার্কেট এলাকা ও ধান্যদৌল বিলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান। এসময় আনসার সদস্য ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার সময় কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছিল একটি ড্রেজার মেশিন। ওই মেশিন ও মাটি সরবরাহে ব্যবহারিত তিন হাজার ফুট পাইপসহ সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়।
এসময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মেশিনের মালিক আবদুল কাদির পালিয়ে যান। তবে মেশিনের দুই কর্মচারীকে আটক করা হলে তারা ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না মর্মে মুচলেকা দেন।
স্থানীয় কৃষক ও জমির মালিকরা জানান, আবদুল কাদির সিলেটের সুনামগঞ্জের বাসিন্দা হলেও কয়েক বছর ধরে ধান্যদৌল এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে শত শত কৃষি জমি নষ্ট করেছেন। তিনি শুধু ধান্যদৌল বা নাগাইশ বিলেই নয়, পুরো উপজেলায় অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে মাটি উত্তোলন করেছেন।
স্থানীয়দের কাছে তিনি “ড্রেজার কাদির” নামে পরিচিত। জমির মালিকরা অভিযোগ করেন, কোনো জমিতে তিনি ড্রেজার বসালে আশপাশের জমির মালিকদেরও মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়।
অভিযান চলার পর কৃষি জমির মালিক ও স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাদের দাবি, অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার নের্তৃত্বদানকারী কাদিরের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান বলেন, “অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা জাহান বলেন, “কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান আছে। এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।