ভিক্টোরিয়া কলেজের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সচিত্র সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।
ভিক্টোরিয়া কলেজের আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সচিত্র সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পেশায় আমি একজন সংবাদকর্মী। সাম্প্রতিক সময় আমাকে নিয়ে একটি দুর্নীতিবাজ চক্র ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্তি চাই। এ সময় শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচীর ঘোষণা দেন।

ফেসবুক বা ইন্টারেটের কল্যাণে কলেজের ২-৩টি ছবি ও খন্ডিত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আপনারা দেখেছেন। শুধু দু’টি ছবি দেখে ক্ষত বিক্ষত ভিক্টোরিয়ার বাস্তব চিত্র আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন না। শতবর্ষী এ কলেজ শত সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমান অধ্যক্ষ গতবছর ১২ সেপ্টেম্বর যোগদানের পর ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের সাথে এক পরামর্শ সভার আয়োজন করেন। সে সভায় কলেজ বিষয়ে ৬ দফা ও আবাসিক হলের ১০টি সমস্যা সমাধানের লিখিত প্রস্তাব দেন। গত ১১ মাসে এসব বিষয়ে কোন গুরত্ব দেয়নি কলেজ প্রশাসন। সর্বশেষ যে ৯ দফা আন্দোলন বা অধ্যক্ষের বিদায় চাওয়া তা কলেজ প্রশাসনের কর্মফল ও শিক্ষার্থীদের গত ১১ মাসের ক্ষোভের বিস্ফোরণ। আমি গত ৮ বছর ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শতাধিক সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করেছি। হয়েছে, মরে গেছে বা দিবস পালিত এ জাতীয় নিউজে কলেজ প্রশাসনের কোন আপত্তি নেই। ভেঙ্গে গেছে, সংকট, প্রয়োজন এ টাইপের নিউজের জন্য ধন্যবাদ। আর কত টাকায় ক্রয় করেছেন, এ প্রশ্ন টাকার খাতভিত্তিক বিবরণ চাওয়া যাবে না। আমি সাংবাদিক, শিক্ষার্থী সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে সরকারি অর্থ জমার খাতভিত্তিক বিবরণ চাই। আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণ চাই।

তিনি আরো বলেন, মোট চারজনের একটি দুর্নীতিবাজ চক্র কর্মকর্তার কথায় আপনারা কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করবেন না। গত ১১ মাসে শিক্ষার্থীদের কী কল্যাণ করেছেন এ প্রশাসন তার তালিকা করুন। কলেজ ফান্ডে ১২ কোটি টাকার বেশী আছে। পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা বা লাইটিং করার জন্য কতদিন সময় লাগে? অথবা কতো টাকা লাগে? বৃষ্টি শেষে তিনদিনেও পানি নজরুল হলের রুম থেকে যায় না। কলেজে মটর রাখা আছে কার জন্য?

শিক্ষকদের নিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। যদি ভুল দেখে থাকেন, আমাকে ডেকে নিয়ে শাসন করার অধিকার আছে। তবে মিথ্যাচার করা শিক্ষক শব্দটার সাথে যায় না। আমি মাস্টার্সের একজন বর্তমান শিক্ষার্থী। আমার পরিচয়পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড রয়েছে। আমাকে যিনি বহিরাগত বলেছেন তার বিচার চাই। যে শিক্ষক বলেছেন, আমি সাংবাদিক না। স্যার, তা প্রমাণ করবেন। উপরে থুতু নিক্ষেপ করলে নিজের গায়ে পরে, ঠিক ছাত্রকে গালাগাল করলেও সে দায় শিক্ষককের। এখানের দু’জন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে কর্মস্থলে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। মানববন্ধনে হুমকি দিয়েছেন! সুফিয়ান কেমন করে সাংবাদিকতা করে, তিনি দেখে নিবেন। আমার প্রশ্ন: আমি অপরাধী হলে আমার বিচার আপনারা করুন। অথবা আদালতে পাঠান। কিন্তু রিজিকে আঘাত কেনো? আমার স্ত্রী-সন্তান আছে আমাকে কেনো কর্মহীন করে দিবেন? এ কি শিক্ষক চরিত্রের সাথে যায়? ফাঁসির আসামিও কারাগারে বসে কর্মকরেন!

এ সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক, কলেজ শিবির সভাপতি মনির হোসেন, জুলাই যোদ্ধা মো. তামিম হোসেন। সর্বশেষ কর্মসূচী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মো. আরিফুল হোসেন। সোমবার থেকে কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান। মঙ্গলবারের মধ্যে অধ্যক্ষ বিদায় না হলে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচী ঘোষণা করেন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  

You cannot copy content of this page