তোফায়েল আহম্মেদ তুহিন।।
ধান কেটে আনার পর চলে মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে সিদ্ধ ধান শুকানোর জন্য নিয়ে আসা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যস্ততম নিমসার-কোরপাই অংশে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন,বাড়ছে দূর্ঘটনার আশঙ্কা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ দখল করে চলছে এমন ধান শুকানোর কাজ। মহাসড়কের পাশেই চলছে সেসব ধানের খড় শোকানোর কাজ। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন।
স্থানীয় মোকাম ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, গত শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার-পোস্টঅফিস ইউটার্নের কাছাকাছি একটি পিকআপ ভ্যান বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল আরোহী পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। সড়কে ধান শুকানোর কারণে মোটরসাইকেল আরোহী পিকআপ ভ্যানটিকে সাইড দিতে দেরী করার কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।”
বরকামতা ইউনিয়নের আবু ইউসুফ জানান, ধান বিছানো সড়কে মোটরসাইকেল চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মহাসড়ক হওয়ার কারণে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। গত বছর ধানের কারণে পিছলে পড়ে তিনি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
ধান শুকানোর কাজে মহাসড়ক ব্যবহারকারী এক কৃষক দূর্ঘটনার ঝুঁকি স্বীকার করে বলেন, উঠানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা আর এ মৌসুমে উঠানে পর্যাপ্ত রোদের আলো না আসায় তারা সড়কে ধান শুকাতে বাধ্য হচ্ছে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি সাফায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি, এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন বিষয়, এরকম কিছু হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page