০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপি-এনসিপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ৭ সাংবাদিকসহ আহত ১৭ “গণতন্ত্রে পরিপক্বতা ও সহনশীলতা দরকার” -ড. খন্দকার মারুফ হোসেন দাউদকান্দিতে ভাষা সৈনিক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বেরিবাঁধে অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযান; ৯৫ লাখ টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ কুমিল্লায় মহাসড়কে ৩০ লাখ টাকার মালামালসহ কাভার্ডভ্যান ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১ কুমিল্লা ধর্মসাগর ও নগর উদ্যানে হকারদের হয়রানি বন্ধে এনসিপির উদ্যোগ কুমিল্লায় আত্মীয়র মরদেহ দেখতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারীর কুবিতে ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব অব অ্যানথ্রোপলজির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা কুমিল্লায় লাল কার্ড হাতে নিয়ে দেশপ্রেমে জাগ্রত হওয়ার শপথ নিলেন ২০০ শিক্ষার্থী

মুরাদনগরে ডাকাতি করতে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক ৩

  • তারিখ : ০৭:১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 0

মনির খাঁন, মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ডাকাতি করতে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বাঙ্গরা থানার গাজীপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মুরাদনগরের বাঙ্গরা থানার গাজীপুর এলাকার শিশু মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া (২৩), ফুল মিয়ার ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩৭) ও মৃত জীবন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান টুকু।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার চাপিতলা এলাকার চা দোকানদার কবির হোসেনের বসতঘরে সিঁধ কেটে একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় প্রবেশ করে। তারা প্রথমেই কবির হোসেনের স্ত্রী রেহানা আক্তার ও ছেলে কামরুল হাসান রনির (১১) মুখে টেপ লাগিয়ে পেছনে হাত বেঁধে রাখে। এ সময় তার ছোট মেয়ে ফাতেমা (৪) কান্নাকাটি করায় এক আসামি তার গলায় ছুরি ধরে রাখে।

আসামিরা ঘরের খাটের ওপর থেকে তার মেয়ে সুমি আক্তারের স্মার্টফোন এবং স্ত্রীর কাছ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ১২,০০০ টাকা ও তার ছেলে সাইফুলের একটি পাসপোর্টসহ কয়েকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে আসামি জাকির হোসেন কবিরের মেয়ে সাথী আক্তারকে (ছদ্মনাম) পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে এবং কয়েকজন মিলে তার নগ্ন ছবি এবং ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে জাকির হোসেনসহ কয়েকজন সাথী আক্তারকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ওই সময় একজনের মুখে থাকা মাস্ক খুলে যাওয়ায় সাথী আক্তার তাকে চিনতে পারে। সে সম্পর্কে সাথী আক্তারের ননদের স্বামী। পরে আসামি জাকির হোসেন সুমি আক্তার পেটে লাথি মারলে তার চিৎকারে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর বাঙ্গরা বাজার থানার পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন কবির হোসেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আসামিদের আটক করে তাদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বাকি পলাতক আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মুরাদনগরে ডাকাতি করতে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক ৩

তারিখ : ০৭:১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

মনির খাঁন, মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ডাকাতি করতে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বাঙ্গরা থানার গাজীপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মুরাদনগরের বাঙ্গরা থানার গাজীপুর এলাকার শিশু মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া (২৩), ফুল মিয়ার ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩৭) ও মৃত জীবন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান টুকু।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার চাপিতলা এলাকার চা দোকানদার কবির হোসেনের বসতঘরে সিঁধ কেটে একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় প্রবেশ করে। তারা প্রথমেই কবির হোসেনের স্ত্রী রেহানা আক্তার ও ছেলে কামরুল হাসান রনির (১১) মুখে টেপ লাগিয়ে পেছনে হাত বেঁধে রাখে। এ সময় তার ছোট মেয়ে ফাতেমা (৪) কান্নাকাটি করায় এক আসামি তার গলায় ছুরি ধরে রাখে।

আসামিরা ঘরের খাটের ওপর থেকে তার মেয়ে সুমি আক্তারের স্মার্টফোন এবং স্ত্রীর কাছ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ১২,০০০ টাকা ও তার ছেলে সাইফুলের একটি পাসপোর্টসহ কয়েকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে আসামি জাকির হোসেন কবিরের মেয়ে সাথী আক্তারকে (ছদ্মনাম) পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে এবং কয়েকজন মিলে তার নগ্ন ছবি এবং ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে জাকির হোসেনসহ কয়েকজন সাথী আক্তারকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ওই সময় একজনের মুখে থাকা মাস্ক খুলে যাওয়ায় সাথী আক্তার তাকে চিনতে পারে। সে সম্পর্কে সাথী আক্তারের ননদের স্বামী। পরে আসামি জাকির হোসেন সুমি আক্তার পেটে লাথি মারলে তার চিৎকারে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর বাঙ্গরা বাজার থানার পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন কবির হোসেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আসামিদের আটক করে তাদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বাকি পলাতক আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।