মনির হোসাইন।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বাইড়া বড় বাড়ী দারুল কুরআান নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ৫ মাস ১৮ দিনে পুরো কুরআন শরীফ হিফজু করার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে হাফেজ সাইদুল ইসলাম নামে এক শিশু।
শিশু সাইদুল ইসলাম (৮) উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাইড়া গ্রানের সবজি ব্যাবসায়ী আক্কাস আলী ছেলে।
মঙ্গলবার (মঙ্গলবার) শিশু হাফেজ সাইদুল ইসলাম কে সংবর্ধনা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন।
হাফেজ অহিদুর রহমান সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টনকি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান ( তুহিন), প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত আমজাদ হোসাইন সাহেব দাঃবাঃ হাফেজ বায়জিদ, সাজ্জাদ হোসেন ও শিক্ষক ডালিম ২৬/৫: সমাপনী পড়া শোনেন ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিফাজা বিভাগের প্রধান হাফেজ সহিদুল ইসলাম।
এ সময় মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ও হিফজ বিভাগের শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাইদুলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় খুব কম সময়ে হিফজু সমাপ্ত করতে পেরেছে, সে।
৫ ই জানুয়ারী২০২২ সালে এ মাদ্রাসাটি নতুন উদ্ভোদন করেন। মাদ্রাসায় ছাত্র সংখ্যা ৫১ জন।
মুরাদনগরে সাইদুল ইসলাম শিশু কোরআনে হাফেজ হওয়ার গোরব অর্জন করেছে। তার কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক-সহপাঠীরা ও আনন্দিত এলাকা বাসী তাহার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সাইদুল ইসলামের পরিবার।
হেফজুর সাইদুলের বাবা আক্কাস আলী বলেন জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে সাইদুলের প্রবল ইচ্ছা ছিল। মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য সে নিজেই প্রচেষ্ট করে। গত ৬ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়।
২০২৫ সালের শুরুতে তাকে পবিত্র কোরআনের সবক দেওয়া হয়। এর পাঁচ মাসের মধ্যেই সে কোরআনে হাফেজ হয়ে ওঠে। দ্রুত সময়ে তার সফলতায় পরিবার ও শিক্ষকরা সবাই খুব খুশি।
হাফেজ সাইদুল বলে, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার জন্য সবার দোয়া চায়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page