১০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, ক্লাস নিলেন শিক্ষার্থীদের কুমিল্লায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত; ২ জনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন কুমিল্লায় সেনা অভিযানে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক, বিপুল অস্ত্র-সামগ্রী জব্দ জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালী মুরাদনগরে অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাই, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি কুমিল্লায় বাল্যবিয়ের খবর বিয়ে বাড়ীতে অভিযান; বরের বাবাকে জরিমানা কুমিল্লা শাসনগাছা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে পথচারীর মৃত্যু কুমিল্লায় বালুর স্তূপ থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার বহির্বিশ্বে দ্বীনের খেদমত প্রচারের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়ায় গেলেন রাজাপুরা দরবারের পীর সাহেব কুমিল্লায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত

‘ম্যাডাম ‘না ডাকায় সার্টিফিকেট আটকে রাখার হুমকি দিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা

  • তারিখ : ০৮:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • 26

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন না করায় দুই শিক্ষার্থীর স্নাতকের সনদ উত্তোলনের ফরমে স্বাক্ষর না করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ‘কীভাবে সনদপত্র উত্তোলন করবে’ তাও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ দুই শিক্ষার্থীর।

অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জারিফাহ তাসমিয়াহ প্রেরণা ও রিদওয়ানুল ইসলাম। সোমবার (১৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে তারা কর্মকর্তা তানিয়ার দপ্তরে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা স্নাতকের সনদ উত্তোলন কার্যক্রমের এক পর্যায়ে স্বাক্ষরের জন্য অর্থ ও হিসাব দফতরে যাই। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা না থাকায় আমাদেরকে তানিয়া আক্তারের কাছে যেতে বলা হয়। তানিয়া আক্তারের কাছে পরপর দুইবার যেতে হয় আমাদের। দ্বিতীয়বার গেলে তিনি ‘আপনাদেরকে আমি স্বাক্ষর দিব না। আপনাদের সম্বোধন ঠিক নেই। আপনারা ম্যাডাম না ডেকে আপু কেন ডাকছেন?’ এমন মন্তব্য করেন।”

“এসময় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের স্যার-ম্যাডাম ডাকার বিষয়ে কোথায় লেখা আছে জানতে চাইলে কথোপকথনের এক পর্যায়ে তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আপনারা কীভাবে সার্টিফিকেট নিবেন তা দেখে নিব।’ এছাড়া তিনি আমাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে আগে এমন চাকরি পেয়ে দেখাতে বলেন।”

শেষ পর্যন্ত অর্থ হিসাব দপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার উল্লিখিত দুই শিক্ষার্থীর ফরমে স্বাক্ষর করেননি। তার পরিবর্তে অন্য এক কর্মকর্তা ফরমে স্বাক্ষর করেন।

এ বিষয়ে রিদওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষের দিকে এসে এরকম ঘটনা অপ্রত্যাশিত। এর আগেও বিভিন্ন সহপাঠীদের কাছে প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের কথা শুনেছি। আজ নিজের সাথেই হলো। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আচরণের সম্মুখীন হওয়া লজ্জাজনক।’

এই বিষয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ‘কাল অফিসে এসে কথা বলেন।’ এরপর তার কাছে ফোনে শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুমকির ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক ঘন্টা পর ফোন দেন। এক ঘন্টা পর ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: আবু তাহের এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সে চাকরিতে নতুন তাই হয়তো বিষয়টি বুঝতে পারেননি। বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।’

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে অবগত না।

error: Content is protected !!

‘ম্যাডাম ‘না ডাকায় সার্টিফিকেট আটকে রাখার হুমকি দিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা

তারিখ : ০৮:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন না করায় দুই শিক্ষার্থীর স্নাতকের সনদ উত্তোলনের ফরমে স্বাক্ষর না করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ‘কীভাবে সনদপত্র উত্তোলন করবে’ তাও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ দুই শিক্ষার্থীর।

অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জারিফাহ তাসমিয়াহ প্রেরণা ও রিদওয়ানুল ইসলাম। সোমবার (১৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে তারা কর্মকর্তা তানিয়ার দপ্তরে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা স্নাতকের সনদ উত্তোলন কার্যক্রমের এক পর্যায়ে স্বাক্ষরের জন্য অর্থ ও হিসাব দফতরে যাই। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা না থাকায় আমাদেরকে তানিয়া আক্তারের কাছে যেতে বলা হয়। তানিয়া আক্তারের কাছে পরপর দুইবার যেতে হয় আমাদের। দ্বিতীয়বার গেলে তিনি ‘আপনাদেরকে আমি স্বাক্ষর দিব না। আপনাদের সম্বোধন ঠিক নেই। আপনারা ম্যাডাম না ডেকে আপু কেন ডাকছেন?’ এমন মন্তব্য করেন।”

“এসময় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের স্যার-ম্যাডাম ডাকার বিষয়ে কোথায় লেখা আছে জানতে চাইলে কথোপকথনের এক পর্যায়ে তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আপনারা কীভাবে সার্টিফিকেট নিবেন তা দেখে নিব।’ এছাড়া তিনি আমাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে আগে এমন চাকরি পেয়ে দেখাতে বলেন।”

শেষ পর্যন্ত অর্থ হিসাব দপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার উল্লিখিত দুই শিক্ষার্থীর ফরমে স্বাক্ষর করেননি। তার পরিবর্তে অন্য এক কর্মকর্তা ফরমে স্বাক্ষর করেন।

এ বিষয়ে রিদওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষের দিকে এসে এরকম ঘটনা অপ্রত্যাশিত। এর আগেও বিভিন্ন সহপাঠীদের কাছে প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের কথা শুনেছি। আজ নিজের সাথেই হলো। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আচরণের সম্মুখীন হওয়া লজ্জাজনক।’

এই বিষয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ‘কাল অফিসে এসে কথা বলেন।’ এরপর তার কাছে ফোনে শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হুমকির ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক ঘন্টা পর ফোন দেন। এক ঘন্টা পর ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: আবু তাহের এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সে চাকরিতে নতুন তাই হয়তো বিষয়টি বুঝতে পারেননি। বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।’

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে অবগত না।