০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হোমনায় নার্সের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, তদন্তের দাবি কুমিল্লার তরুণ প্রজন্মের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন বুড়িচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কীটনাশক দোকানে জরিমানা কুমিল্লায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত, আহত ৪ কুমিল্লা নগরীর বিসিকে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ব্রাহ্মণপাড়ায় ৬ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ ট্রাক চালককে জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পুকুর ও জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ মনোহরগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতেতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে জাতীয় শোক দিবস পালন

  • তারিখ : ০৩:০৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • 1

নেকবর হোসেন।।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

সুর্যোদয়ের সাথে সাথে বোর্ড প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবদুস ছালাম এর নেতৃত্বে বোর্ডের সঙ্গে কর্মকর্তা কর্মচারী বোর্ড আঙ্গিনা থেকে র‍্যালি সহকারে উপস্থিত হয়ে নগর উদ্যান সংলগ্ন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং সকাল ১০টায় বোর্ড আঙ্গিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে বোর্ডের পক্ষ থেকে পুনরায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা শেষে শিক্ষাবোর্ড অডিটরিয়ামে হলে কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেস মোঃ আবদুস ছালাম তিনি তাঁর বক্তব্যে ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ত এবং পরবর্তী বাংলাদেশের উপর এর ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে আলোচন করেন।

তিনি বলে- “বাঙ্গালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর ডাকে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জয় বাংলার মূলমন্ত্র সেদিন মুক্তিকামি বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সুতোয় গাঁথা। আজকের এই দিনে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, যার যার কর্তব্য পালন করার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার কক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরোও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ঘাতকরা চেয়েছিল ইতিহাসের চাকাকে পিছনে ঘুরাতে।

স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়।কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। বরং তারাই নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান,বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম ও উপ পরিচালক (হিঃ ও নি) মোহাম্মদ ছানাউল্যাহ,কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো: আবদুল খালেকসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে কুমিল্লা সদরের দুটি এতিমখানায় এতিমদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয় এবং বাদ জোহর বোর্ড জামে মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের আত্মর মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে জাতীয় শোক দিবস পালন

তারিখ : ০৩:০৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

নেকবর হোসেন।।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

সুর্যোদয়ের সাথে সাথে বোর্ড প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবদুস ছালাম এর নেতৃত্বে বোর্ডের সঙ্গে কর্মকর্তা কর্মচারী বোর্ড আঙ্গিনা থেকে র‍্যালি সহকারে উপস্থিত হয়ে নগর উদ্যান সংলগ্ন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং সকাল ১০টায় বোর্ড আঙ্গিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে বোর্ডের পক্ষ থেকে পুনরায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা শেষে শিক্ষাবোর্ড অডিটরিয়ামে হলে কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেস মোঃ আবদুস ছালাম তিনি তাঁর বক্তব্যে ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ত এবং পরবর্তী বাংলাদেশের উপর এর ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে আলোচন করেন।

তিনি বলে- “বাঙ্গালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর ডাকে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জয় বাংলার মূলমন্ত্র সেদিন মুক্তিকামি বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সুতোয় গাঁথা। আজকের এই দিনে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, যার যার কর্তব্য পালন করার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার কক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরোও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ঘাতকরা চেয়েছিল ইতিহাসের চাকাকে পিছনে ঘুরাতে।

স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়।কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। বরং তারাই নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান,বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম ও উপ পরিচালক (হিঃ ও নি) মোহাম্মদ ছানাউল্যাহ,কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো: আবদুল খালেকসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে কুমিল্লা সদরের দুটি এতিমখানায় এতিমদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয় এবং বাদ জোহর বোর্ড জামে মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের আত্মর মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।