নিউজ ডেস্ক।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের নবনির্মিত রবীন্দ্র ভবনের নিচে সঞ্জু বারাইক (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে ছিল। আজ সোমবার ভোরে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা সঞ্জু ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই শিক্ষার্থীর একটি পোস্ট দেখা গেছে।
ওই পোস্টে লেখা ছিল, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আমি দিনের পর দিন কাউকে ডিস্টার্ব করে গেছি, উল্টো মানুষকে দোষারোপ করা আমার একদম ঠিক হয়নি, আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দিনের পর দিন অন্যায় করেছি, নিজের দোষ ঢেকে অপরজনকে দোষ দেওয়া আমার ঠিক হয়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমার কারণে কারও কোনো ক্ষতি হলে সেই দায় একান্তই আমার, আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
সঞ্জু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন জগন্নাথ হলে। তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ জানান, আজ ভোরের দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি পড়ে ছিল। উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
সঞ্জু কিছুদিন ধরে ‘মানসিক সমস্যায়’ ভুগছিলেন বলে জানান জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর (সঞ্জু) বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে মানসিক সমস্যার বিষয়টি জানতে পারি। দুই দিন ধরে সে হলে ছিল না। আজ ভোর চারটার দিকে সে হলে আসে। মিনিট দশেক পরে হলের ছাদে যায়।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর বলেন, হলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ওই যুবক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গেছেন। তবে তিনি পড়ে গেছেন নাকি লাফ দিয়েছেন, বিষয়টি নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তদন্ত শেষে সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page