মোঃ উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল।।
দীর্ঘ ১৯ দিন পর শীথিল করা হয়েছে লকডাউন।সরকারী বেসরকারী থেকে শুরু করে স্বাভাবকি করা হয়েছে সকল সেবা। লকডাউন শেষ না হতে হতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লা নগরবাসী।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় কুমিল্লা শহরে প্রবেশ থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে দেখা গিয়েছে তীব্র যানজট। মানুষের চলাচল বেড়েছে অনেক। আবার কেউ কেউ ছুটছেন তাদের গন্তব্য স্থলে জীবিকার সন্ধানে।
নগরীর রিক্সাচালক মো আনোয়ার হোসেন বলেন লকডাউন থাকা অবস্থায় আমাদের জীবিকা নির্বাহ করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। লকডাউন শীথিল করাতে আমরা অনেক খুশি । আবার আগের মতো রোজগার করতে পারবো। আবার যদিও লকডাউন দেওয়া হয় সরকারের কাছে আমাদের একটা চাওয়া আমরা যেন সরকারী অনুদান পায়।
নিউমার্কেটে শপিং করতে আসা মো তানভির হাসান বলেন আমার দীর্ঘ ১৯ দিন চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী ছিলাম। লকডাউন শীথিল করাতে আজকে নিউমার্কেট এসেছি প্রয়োজনীয় কিছু পোষাক ক্রয় করার জন্য।
নগরীর ফুটপাতে বসা হকার মো জামাল জানান আমরা এতো দিন কোনো পন্য বিক্রি করতে পারি নাই। আজ সকাল বেলা কিছু পন্য নিয়ে বসলাম। আলহামদুলিল্লাহ অনেক আসতেছে পন্য ক্রয় করার জন্য।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী মো চয়ন হাসান জানান আমরা অনেক দিন দোকান খুলতে পারি নাই। ঘরে বসে অলস সময় কাটাতে হয়েছে। আজকে থেকে দোকান খোলার সুযোগ পেয়েছি। মোটামুটি ভালো কাস্টমার আছে মার্কেটে।
কান্দিরপার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জানান আজ সকাল থেকে নগরীতে অনেক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। যানবাহন চলাচল আগের থেকে ও বেড়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে। জনসাধারণের উদ্দেশ্য বলবো আপনারা জরুরি কাজ ছাড়া বাহির হবেন না। সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবেন এবং মাস্ক পরিধান করবেন।
সব মিলিয়ে বলা যায় কুমিল্লা নগরীর আবার লকডাউন পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। মানুষ তাদের নিজ নিজ জীবিকায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকল মানুষ তাদের কর্মকান্ডে ফিরতে পেরে আনন্দিত। মানুষের মনে এক প্রকার শান্তি কাজ করছে। কিন্তু করোনা মহামারী এখনো বিরাজমান। এ মহামারী থেকে বাচতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে । মাস্ক পরিধান করতে হবে।
