আলমগীর কবির।।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকায় নিজস্ব ব্যানারে অবস্থানকালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মিছিলে সেসিপ প্রকল্প থেকে অবৈধভাবে রাজস্ব খাতে নিয়োগ পাওয়া নিয়োগবিধিহীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাউশির কর্মচারি নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের মিছিলে বাঁধা ও শিক্ষকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এরমধ্যে ঢাকা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক হারুনুর রশিদ, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এ কে এম আজাদ, সহকারী শিক্ষক আল নাহিয়ান গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কারজনক আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে সারাদেশের বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) এবং বৈষম্য বিরোধী সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদ ২০০৫ থেকে ২০২৪ ব্যাচের আহবানে সারাদেশে কালো ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন এবং কর্মবিরতি পালন করছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জিলা স্কুল এবং নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানিয়ে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক,(বাসমাশি কুমিল্লা অঞ্চল কমিটি)সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল দত্ত চৌধুরী,কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, (বাসমাশিস কুমিল্লা অঞ্চল কমিটি) মোঃ মিজানুর রহমান, বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক,বাসমাশিস কুমিল্লা অঞ্চল কমিটিির সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন, বাসমাশিস কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ জিয়াউল হক প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষকগণ নিম্নোক্ত দাবি উপস্থাপন করে তা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানায়।
১. শিক্ষক লাঞ্ছিতের সাথে জড়িত শিক্ষা কর্মকর্তা ও সেসিপ প্রকল্পের কর্মচারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. নিয়োগ বিধি অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মোট পদের ৫০ ভাগ সিনিয়র শিক্ষকদের পদায়নের চলমান কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
৩. সহকারী শিক্ষক হতে সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের শূণ্যপদে পদায়ন করতে হবে।
৪. দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনে এন্ট্রিপদ (সহকারী শিক্ষক) ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৪ স্তরীয় (সরকারি কলেজের ন্যায়) পদসোপান বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. বকেয়া টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও অগ্রিম বর্ধিত বেতন সমস্যার সমাধান করে দ্রুত মঞ্জুরী আদেশ প্রদান করতে হবে।
৫. মাধ্যমিক শিক্ষায় চলমান বৈষম্য নিরসনে ২০১০ এর শিক্ষানীতির আলোকে মাধ্যমিকের জন্য “স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর” প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এছাড়াও প্রকল্প থেকে আর কোন জনবলকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা চলবে না বলে বক্তব্য রাখেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page