নিউজ ডেস্ক।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পৃথক দুর্ঘটনায় একই দিনে চার জনের মৃত্যু ঘটে। শনিবার (২২ জানুয়ারী) দুপুর আড়াইটায় মহাসড়কের চান্দিনায় ও দুপুর পৌঁনে ২টায় আদর্শ সদর উপজেলার আমতলী এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত আরও ৫জন।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্রামের মৃত খলিলুর রহমান সুয়া’র ছেলে মো. টুটুল (৪৫), একই জেলার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংটিয়ারা আব্দুর রশিদ এর মো. মাহফুজ (৩০), বুড়িচং উপজেলার ষোলনল গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও দেবীদ্বার উপজেলার নবীয়াবাদ গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে শাওন হোসেন তৌকী (১৮)।
জানা যায়, শনিবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার তীরচর এলাকায় যাত্রীবাহী মারুতি গাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের একটি বাস। ওই ঘটনায় মো. টুটুল ও মো. মাহফুজ নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ৪জন।
দুপুর পৌঁনে ২টা মহাসড়কের আমতলী এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী রুবেল হোসেন ও শাওন হোসেন তৌকী নিহত হয়। ওই ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক মাহাবুব গুরুতর আহত হয়।
নিহত মাহফুজ এর নিকটাত্মীয় বশির আহমেদ জানান, শনিবার দুপুরে তারা চান্দিনার বাখরাবাদ স্টেশন এলাকা থেকে মারুতি যোগে ইলিয়টগঞ্জ যাওয়ার পথে মহাসড়কের তীরচর এলাকায় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা দিলে মারুতি গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মো. টুটুল নিহত হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় মো. মাহফুজকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেঘনা এলাকায় মৃত্যু ঘটে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা ঘাতক বাসটি আটক করেছি। চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে নিহত শাওন এর বন্ধু সোহাগ জানান, দুপুরে আলেখারচর থেকে মোটরসাইকেল যোগে তিনজন ক্যান্টনমেন্ট হোটেলে ভাত খাওয়ার জন্য যাওয়ার পথে অজ্ঞাত একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শাওন ও রুবেল। গুরুতর আহত হয় মোটরসাইকেল চালক মাহবুব। তারা সকলেই গাড়ির স্টাফ।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
You cannot copy content of this page