মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ১২টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি শনিবার দুপুর সাড়ে বারটায় উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামে ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের চৌদ্দগ্রামের ইনচার্জ মোঃ ফয়েজ আহমেদ। অগ্নিকান্ডে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় মালামালসহ ৪০-৪৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। পাশাপাশি ঘর হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর সাড়ে বারটায় ওই গ্রামের আবদুল আজিজের ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পাশ^বর্তী ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে কাঁকড়ি নদী থেকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে বারটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল আজিজ বলেন, হঠাৎ করে তার ঘরে আগুন লাগে। তার চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও আগুন দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ায় তার ঘরসহ বারটি ঘরের মূল্যবান মালামালসহ ঘরগুলো পুড়ে ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত হান্নান মিয়া বলেন, আগুন লাগার কারণে ঘর থেকে কোন কিছুই বের করতে পারি নাই। আমরা গরীব মানুষ, দিনমজুরি দিয়ে সংসার চালাতে হয়। আগুনে আমার সর্বস্ব পুড়ে গেছে। এখন আমিসহ পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে।
অপর ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হাশেম বলেন, ফায়ার সার্ভিস আরও তাড়াতাড়ি হয়তো এতটা ক্ষয়ক্ষতি হতো না। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে।
উজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান নায়িমুর রহমান মজুমদার মাসুম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে বারটি ঘর পুড়ে গেছে। এখানে যারা বসবাস করে সবাই হতদরিদ্র। ইউনিয়ন পরিষদসহ সরকারিভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আগুনের বারটি পুড়ে গেছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনজুরুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত বলতে পারবো’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page