নেকবর হোসেন।।
জাতীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাঈদা পারভীন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের এর উপ পরিচালক শওকত আরা কলি এর নেতৃত্বে কুমিল্লা বুড়িচং, সদর সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর অবৈধ ইটভাটা ও সীসা তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়।
২ দিনব্যাপী এ অভিযানে ১৬ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিবেশের ক্ষতি সহ বিভিন্ন অভিযোগে সদর উপজেলার শংকরপুর এস ইসলাম ব্রিকস ফিল্ড কে নগদ ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা এবং বুড়িচংয়ের কংশনগর এলাকায় ইসলাম ব্রিকস কে নগদ ১লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। দুপুরে ময়নামতি ইউনিয়নের শরিফপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন পরিবেশ বিধ্বংসী সিসা তৈরির অবৈধ কারখানা রবি ব্যাটারী হাউজ কে নগদ ৬০হাজার টাকা জরিমানা এবং কারখানাটিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়৷
একই দিন বিকেলে জেলার দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলা সীমান্তের কাবিলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় মেসার্স যমুনা ব্যাটারী কোং নামে একটি সহ পাশাপাশি একই এলাকায় বেনামে আরো ২টি সিসা কারখানা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া এর আগে মুরাদনগর উপজেলায় আরো একটি সিসা কারখানা উচ্ছেদ করা হয়। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধ ভাবে পরিচালিত বেশকিছু ইটভাটা ও ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরির ক্ষতিকর কেমিক্যাল কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়। ১৫ মার্চ সোমবার জেলার সদর, সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রামে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা সহ বিভিন্ন অভিযোগে ৫টি ব্রিকস ফিল্ড কে ১৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বুড়িচং সদর ও চান্দিনা উপজেলার দুটি ইটভাটা ও একটি সীসা তৈরি কারখানাকে ৪লক্ষ ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মালিক বা লোকজন না থাকায় তাদের জরিমানা করা যায়নি। পরিবেশের, পশুপাখি, মানবদেহ ও কৃষি জমির ফসলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়ায়, সীসা তৈরির কারখানাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়। নিয়মনীতি না মেনে পরিচালিত অনুমোদনহীন ও ক্ষতিকর কারখানা মিল ফেক্টোরির বিরুদ্ধে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাঈদা পারভীন এর নেতৃত্বে দুই দিনব্যাপী এই অভিযানে জেলা পুলিশের একটি টিম ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ সার্বিক ভাবে সহায়তা করেন। ১৫ মার্চ সোমবার পরিচালিত অভিযানে যেসকল প্রতিষ্ঠান কে জরিমানা করা হয়
১. আ।শ্রাফ ব্রিক্স, সাং- ধনেশ্বর , সদর দক্ষিণ , কুমিল্লা -৫ লক্ষ টাকা
২. কুমিল্লা ব্রিক্স, সাং- চাপাপুর,আদর্শ সদর , কুমিল্লা – ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
৩. ইসলামিয়া ব্রিক্স, সাং- ভল্লবপুর, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা -৫ লক্ষ টাকা
৪. মিরাজ ব্রিক্স, সাং- নারায়ণপুর, চৌদ্দগ্রাম , কুমিল্লা -৩ লক্ষ টাকা
৫. কোয়ালিটি ব্রিক্স, সাং- বাঙ্গালমুড়ি, চৌদ্দগ্রাম , কুমিল্লা -১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।