মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।
বীরকণ্যা ফুল বানু। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছেন। সময়ের প্রয়োজনে হাতেও তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র৷
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বড়ধর্মপুরএলাকার বীরকণ্যা ফুল বানুর ভিটেমাটি। কোন রকম খেয়ে পড়ে আছেন৷ একটি ঘর পেলে তার কষ্ট কমে যেতো।
এমন খবরে এগিয়ে এলো নারীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন চেষ্টা। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় বীরকণ্যা ফুলবানুর জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিলেন।
চেষ্টা সংগঠনটি বিগত দশবছর ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরকণ্যাদের সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বেচে থাকার নূন্যতম চাহিদা পূরণই মুলত “চেষ্টা”র কাজ।
গত জানুয়ারি তে “চেষ্টা”র নেত্রীবৃন্দ কুমিল্লার বড়ধর্মপুরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখতে পান বীরকণ্যা ফুল বানুর থাকার কোন ঘর নেই।নিজের সামান্য একটুখানি জায়গায় চাটাই এর বেড়া দিয়ে কোনরকমে দিন যাপন করে।
পরবর্তিতে “চেষ্টা” নিজস্ব অর্থায়নে ফুলবানুকে তার জমিতে দুই কামরা বিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়।
বুধবার বেলা তিনটার দিকে নতুন ঘরটি ফুলবানুর কাছে হস্তান্তর করা হয়। নতুন ঘর পেয়ে কাঁদলেন ফুলবানু।
সদর দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, চেষ্টা’ নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, ফুলবানুকে ঘর তৈরী করে দেয়ার জন্য। আমরা সার্বিক সহযোগীতা করেছি। একটি ভালো কাজের অংশীদার হতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে।
ঘর হস্তান্তরের পরে অনুভূতি ব্যক্ত করে চেষ্টা’র সভাপতি লায়লা নাজনীন হারুন বলেন, আমরা গত দশ বছর ধরে কাজ করে চলছি। প্রতিটা কাজ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বীরকন্যা ফুলবানুর ঘর হস্তান্তর করতে পেরেছি বলে সত্যি খুব ভালো লাগছে।
বীরকন্যা ফুলবানুর ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। নতুন ঘরের চাবি তুলে দিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, ফুলবানুর যেন আর্থিক অসংগতি দূর হয় সে জন্য ফুলবানুকে একটি গাভী কিনে দেয়া হবে।