০৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা ও আগুন; দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরেও হয়নি কুবির ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর কুবিতে ‘ডাটা গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন কুমিল্লায় একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক গ্রেপ্তার মুরাদনগরে শিক্ষার মানউন্নয়নে আভিভাবক সমাবেশ আনুষ্ঠিত

আমি এখন বাংলাদেশে নিজের ঘরে ঈদ করবো

  • তারিখ : ১২:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • 13

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।
আলেয়া বেগম। স্বামী কফিল উদ্দিন। এক ছেলে এক মেয়ে কফিল- আলেয়া দম্পত্তির। ছেলে চট্টগ্রামে একটি কারখানার শ্রমিক। মেয়ে স্বামীর ঘরে। নিজেদের ঘর নেই। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী নিশ্চিন্তপুর বাংলাদেশ ভারতের শূণ্যরেখায় স্থানীয়রা একটি ঘর তৈরী করে দেন। সেই ঘরে এতদিন ছিলেন। আজ নিজেদের নতুন ঘর পেয়ে আনন্দিত আলেয়া বেগম বলেন, আগে আমডারে যেখানে হগ্গলে মিল্লা ঘর কইরা দিছিলো হেই ঘরটা অর্ধেকটা ইন্ডিয়াত পড়ছে। বাহি অর্ধেকটা বাংলাদেশে পড়ছে। ওই ঘরটাতে একবার বিজিবি যাইতো একবার বিএসএফ যাইতো। শান্তি আছিলো না। আইজ প্রধানমন্ত্রী আমডারে একটা পাক্কা ঘর দিছে। এহন বাংলাদেশে নিজের ঘরে ঈদ করতে পাইরাম। কি শান্তিডা লাগতাছে।

নুর জাহান বেগমের তিন মেয়ে। বিয়ে দিয়েছেন। স্বামী মোঃ সেলিম তেমন আয় উপার্জন করতে পারেন না। নুরজাহান বাবার বাড়ী কালিকাপুরের একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকতেন। নতুন ঘর পেয়ে ফোকলা দাঁত বের হেসে উঠেন। আনন্দে কেঁদে নুরজাহান বলেন, এতদিন ঘর দিয়া মেঘের ফানি ফড়তো, রইদ বানে বহুত কষ্ট পাইছি। আইজ নতুন ঘর পাইছি। ঘরের ভিতরে রান্দনের ঘর আছে। অহন আর রইদ বানে কষ্ট পাইতাম না।

মঙ্গলবার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে প্রধানমন্ত্রীর নতুন ঘর পেয়ে এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন নূরজাহান ও আলেয়া বেগমরা।

মঙ্গলবার তাদের মত আরো ১৩ জনকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। রোজা রেখে নতুন ঘরের কাগজপত্র বুঝে নিতে আসা এসব মানুষের মনে আজ ঈদের আগে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছিলো।

নতুন ঘর হস্তান্তরের পর কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড.আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ণ করা হচ্ছে। আমরা সেই গৌরবের অংশিদার হচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটা আমার কাছে অত্যান্ত আনন্দের।

উপজেলা নির্বাহী জাকিয়া আফরিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করেছেন। তারপরই কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১৫ জন গৃহহীন পরিবারকে নতুন ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করেছি। আজ থেকে ১৫ পরিবারের সদস্যরা ওই ঘরগুলোতে থাকতে পারবে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলায় তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৪৬৬ টি নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

error: Content is protected !!

আমি এখন বাংলাদেশে নিজের ঘরে ঈদ করবো

তারিখ : ১২:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।
আলেয়া বেগম। স্বামী কফিল উদ্দিন। এক ছেলে এক মেয়ে কফিল- আলেয়া দম্পত্তির। ছেলে চট্টগ্রামে একটি কারখানার শ্রমিক। মেয়ে স্বামীর ঘরে। নিজেদের ঘর নেই। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী নিশ্চিন্তপুর বাংলাদেশ ভারতের শূণ্যরেখায় স্থানীয়রা একটি ঘর তৈরী করে দেন। সেই ঘরে এতদিন ছিলেন। আজ নিজেদের নতুন ঘর পেয়ে আনন্দিত আলেয়া বেগম বলেন, আগে আমডারে যেখানে হগ্গলে মিল্লা ঘর কইরা দিছিলো হেই ঘরটা অর্ধেকটা ইন্ডিয়াত পড়ছে। বাহি অর্ধেকটা বাংলাদেশে পড়ছে। ওই ঘরটাতে একবার বিজিবি যাইতো একবার বিএসএফ যাইতো। শান্তি আছিলো না। আইজ প্রধানমন্ত্রী আমডারে একটা পাক্কা ঘর দিছে। এহন বাংলাদেশে নিজের ঘরে ঈদ করতে পাইরাম। কি শান্তিডা লাগতাছে।

নুর জাহান বেগমের তিন মেয়ে। বিয়ে দিয়েছেন। স্বামী মোঃ সেলিম তেমন আয় উপার্জন করতে পারেন না। নুরজাহান বাবার বাড়ী কালিকাপুরের একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকতেন। নতুন ঘর পেয়ে ফোকলা দাঁত বের হেসে উঠেন। আনন্দে কেঁদে নুরজাহান বলেন, এতদিন ঘর দিয়া মেঘের ফানি ফড়তো, রইদ বানে বহুত কষ্ট পাইছি। আইজ নতুন ঘর পাইছি। ঘরের ভিতরে রান্দনের ঘর আছে। অহন আর রইদ বানে কষ্ট পাইতাম না।

মঙ্গলবার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে প্রধানমন্ত্রীর নতুন ঘর পেয়ে এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন নূরজাহান ও আলেয়া বেগমরা।

মঙ্গলবার তাদের মত আরো ১৩ জনকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। রোজা রেখে নতুন ঘরের কাগজপত্র বুঝে নিতে আসা এসব মানুষের মনে আজ ঈদের আগে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছিলো।

নতুন ঘর হস্তান্তরের পর কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড.আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ণ করা হচ্ছে। আমরা সেই গৌরবের অংশিদার হচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটা আমার কাছে অত্যান্ত আনন্দের।

উপজেলা নির্বাহী জাকিয়া আফরিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করেছেন। তারপরই কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১৫ জন গৃহহীন পরিবারকে নতুন ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করেছি। আজ থেকে ১৫ পরিবারের সদস্যরা ওই ঘরগুলোতে থাকতে পারবে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলায় তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৪৬৬ টি নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।