০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে পোড়া তেলে শিশু খাদ্য তৈরি, ১ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লায় কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা ২০২৬ সালে নতুন ক্যাম্পাসে উদ্বোধন হবে ৪টি হল ও ৪টি অ্যাকাডেমিক ভবন: কুবি উপাচার্য মনোহরগঞ্জে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব, আতঙ্কিত পথচারীরা ও স্কুলগামীরা দাউদকান্দিতে যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান কুমিল্লায় মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই: ১৯টি গরু ও ২ লাখ টাকা লুট গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা অতুলনীয় -ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভণ্ড রাজারবাগের আস্তানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

কুমিল্লায় খিরার বাম্পার ফলন ও দামে কৃষকরা খুুুশি

  • তারিখ : ০১:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১
  • 209

এন.সি জুয়েল
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় এবছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে ফলে দামে সন্তুষ্ট কৃষকরাও। এ বছর কুমিল্লার আবহাওয়া খিরা চাষের অনুকূলে থাকায় খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। খিরাগাছের যত্নআত্তি ছাড়াও খিরা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকদের পরিবার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর ১২শ ৩১ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে জেলার দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা, দেবিদ্বার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি খিরা চাষ হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃর্ণ প্রান্তরজুড়ে সবুজ মখমলের মত বিছিয়ে রয়েছে খিরার গাছ। সবুজ পাতার মাঝে হলুদ ফুলে ভ্রমর মৌমাছির উড়াউড়ি। আর খিরার ডগায় ডগায় রয়েছে সবুজ কচকচে খিরা।

খিরার ভালো ফলনে খুশি কুমিল্লার চাষিরা। জমির পাশে ভিড় করছেন পাইকাররা। জমির পাশ থেকে খিরা ১২ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা। তবে কুমিল্লার খুচরা বাজারে খিরা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জমিতে মা ও ভাইকে নিয়ে খিরা সংগ্রহ করছিলেন জমির হোসেন। তিনি জানান, এ বছর ৬০ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। খিরার ফলন ভালো হয়েছে উল্লেখ করে ফারুক হোসেন বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে অন্তত ১ লাখ টাকার খিরা বিক্রি করতে পারব। খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা হবে ৮০ হাজার টাকা। আলামিন ৬০ শতক ও রুবেল হোসেন ৯০ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। তাদের অভিযোগ খিরার পাতায় কুঁচকানো ও পাতা পঁচা রোগ শুরু হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। বলছেন, যথাসময়ে সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতা পেলে খিরার ফলন আরও বাড়ানো যেতো।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, ‘আমাদের কিছু লোকবল সমস্যা রয়েছে। তবে কৃষকের যে কোনো সমস্যায় কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে সেবা দিয়ে আসেন। আমি নিজেও মাঠে পড়ে থাকি। কৃষকদের সমস্যার কথা শুনি। যে কয়েক কৃষক অভিযোগ করেছেন তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেবা দেয়া হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় খিরার বাম্পার ফলন ও দামে কৃষকরা খুুুশি

তারিখ : ০১:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

এন.সি জুয়েল
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় এবছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে ফলে দামে সন্তুষ্ট কৃষকরাও। এ বছর কুমিল্লার আবহাওয়া খিরা চাষের অনুকূলে থাকায় খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। খিরাগাছের যত্নআত্তি ছাড়াও খিরা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকদের পরিবার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর ১২শ ৩১ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে জেলার দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা, দেবিদ্বার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি খিরা চাষ হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃর্ণ প্রান্তরজুড়ে সবুজ মখমলের মত বিছিয়ে রয়েছে খিরার গাছ। সবুজ পাতার মাঝে হলুদ ফুলে ভ্রমর মৌমাছির উড়াউড়ি। আর খিরার ডগায় ডগায় রয়েছে সবুজ কচকচে খিরা।

খিরার ভালো ফলনে খুশি কুমিল্লার চাষিরা। জমির পাশে ভিড় করছেন পাইকাররা। জমির পাশ থেকে খিরা ১২ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা। তবে কুমিল্লার খুচরা বাজারে খিরা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জমিতে মা ও ভাইকে নিয়ে খিরা সংগ্রহ করছিলেন জমির হোসেন। তিনি জানান, এ বছর ৬০ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। খিরার ফলন ভালো হয়েছে উল্লেখ করে ফারুক হোসেন বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে অন্তত ১ লাখ টাকার খিরা বিক্রি করতে পারব। খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা হবে ৮০ হাজার টাকা। আলামিন ৬০ শতক ও রুবেল হোসেন ৯০ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। তাদের অভিযোগ খিরার পাতায় কুঁচকানো ও পাতা পঁচা রোগ শুরু হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। বলছেন, যথাসময়ে সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতা পেলে খিরার ফলন আরও বাড়ানো যেতো।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, ‘আমাদের কিছু লোকবল সমস্যা রয়েছে। তবে কৃষকের যে কোনো সমস্যায় কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে সেবা দিয়ে আসেন। আমি নিজেও মাঠে পড়ে থাকি। কৃষকদের সমস্যার কথা শুনি। যে কয়েক কৃষক অভিযোগ করেছেন তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেবা দেয়া হবে।