নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার ওরফে অনিককে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় জামিন দিয়েছেন কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আব্বাস উদ্দিন। রোববার সকালে তাঁকে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাপ্তাহিক হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন দেওয়া হয়।
কুমিল্লার আরেকটি আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানা তাঁকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। ফলে আলোচিত এ নেতাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ আগস্ট সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাগোয়া কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচরের একটি আবাসিক হোটেলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলার ৩ নম্বর আসামি উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার। মামলার পর আবু কাউছার গা ঢাকা দেন। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় কক্সবাজারের কলাতলী থেকে র্যাব সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবু কাউছারের আইনজীবী সৈয়দ তানভীর আহমেদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আক্তার হামিদ খান কবির বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর দেবীদ্বারের নূরপুরের শান্ত হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় আবু কাউছারকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. তৌহিদুল ইসলাম। আদালত আজ তা মঞ্জুর করেন। ফলে ধর্ষণের মামলায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেও হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আসাদুর রহমান বলেন, আসামির জামিন আদেশের কাগজ ও আরেকটি মামলার ‘শ্যোন অ্যারেস্টের’ আদেশ পেয়েছেন। এ কারণে তাঁর কারামুক্তি হচ্ছে না।
আবু কাউছারের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার নূরপুর গ্রামে। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page