নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার চান্দিনায় হত্যার পর আরমান হোসেন জনি নামে এক যুবকের লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরমান হোসেন জনি পাশ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি পিকআপচালক ছিলেন।
নিহতের বাবা মজিবুর রহমান জানান, ছয় মাস আগে উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে জনির বিয়ে হয়। শিল্পী আক্তারের আগে বিয়ে হয়েছিল, তার সন্তানও রয়েছে। জনিকে বিয়ের পরও শিল্পী তার আগের স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করত। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
তিনি আরও জানান, ১০ দিন আগে শিল্পী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। শনিবার বিকালে জনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। রোববার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জনির হাত-পা বেঁধে মারধর করে। রাত ১০টার দিকে ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে কাবিনের টাকা ও অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলে তাকে। সকালে শুনি জনির লাশ কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুরে পাওয়া গেছে।
মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শিল্পীর বাবার বাড়ির লোকজন জনিকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
তবে নিহতের স্ত্রী শিল্পী আক্তারের দাবি, জনি মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করায় এলাকার লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে তার শ্বশুরকে ফোন করেন। রাত ১টার দিকে তার স্বামী শিকল খুলে পালিয়ে যান। পরদিন দুপুর ১২টায় তার স্বামীর লাশ একটি পুকুরে পাওয়া যায়।
চান্দিনা থানার এসআই রাকিব হাসান জানান, নিহতের নাক, কান ও চোখে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page