০১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা; আটক ১০

  • তারিখ : ০৬:১২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • 9

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রধান শিক্ষক এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা কেউ বিদ্যালয়ে আসেনি। রাতে পুলিশি অভিযানের পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০১ জনকে। রাতে অভিযুক্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। আজ উপজেলার মাশিকাড়া বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট খোলেননি ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার খবর নিয়ে জানা গেছে, মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাজী মো. বাহালুল হক, শিক্ষক/শিক্ষিকাসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। কিন্তু আসেনি কোনও শিক্ষার্থী। অপরদিকে, বুধবার রাত পর্যন্ত চলা সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মোকতোল হোসেনকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা, ঘটনার পর দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। এই মামলার আসামি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোকতল হোসেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর মামলার বাদী পুলিশ। এটিতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করা ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. বাহালুল হক জানান, গতকালের ঘটনার পর রাতে আবার সংঘর্ষ বাধে। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। তাই বিদ্যালয় খোলা থাকলেও গতকালের ঘটনায় কোনও শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনি। গ্রামেও তেমন পুরুষ নেই।

জানা গেছে, বুধবার সকাল পৌনে ৯ টায় প্রধান শিক্ষক মো. মোকতোল হোসেন তার কক্ষে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি জানাজানির পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী দিনব্যাপী প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে। এ সময় অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক ও তার মেয়ের জামাইয়ের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। প্রধান শিক্ষককে রক্ষায় বহিরাগত লোকজন এসে ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় অন্তত ৮-১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বর্তমান ও সাবেক ছাত্র, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা বিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত ৮ থেকে ১০ জনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা; আটক ১০

তারিখ : ০৬:১২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রধান শিক্ষক এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা কেউ বিদ্যালয়ে আসেনি। রাতে পুলিশি অভিযানের পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০১ জনকে। রাতে অভিযুক্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। আজ উপজেলার মাশিকাড়া বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট খোলেননি ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার খবর নিয়ে জানা গেছে, মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাজী মো. বাহালুল হক, শিক্ষক/শিক্ষিকাসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। কিন্তু আসেনি কোনও শিক্ষার্থী। অপরদিকে, বুধবার রাত পর্যন্ত চলা সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মোকতোল হোসেনকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা, ঘটনার পর দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। এই মামলার আসামি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোকতল হোসেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর মামলার বাদী পুলিশ। এটিতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করা ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. বাহালুল হক জানান, গতকালের ঘটনার পর রাতে আবার সংঘর্ষ বাধে। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। তাই বিদ্যালয় খোলা থাকলেও গতকালের ঘটনায় কোনও শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনি। গ্রামেও তেমন পুরুষ নেই।

জানা গেছে, বুধবার সকাল পৌনে ৯ টায় প্রধান শিক্ষক মো. মোকতোল হোসেন তার কক্ষে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি জানাজানির পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী দিনব্যাপী প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে। এ সময় অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক ও তার মেয়ের জামাইয়ের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। প্রধান শিক্ষককে রক্ষায় বহিরাগত লোকজন এসে ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় অন্তত ৮-১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বর্তমান ও সাবেক ছাত্র, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা বিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত ৮ থেকে ১০ জনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।