০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুরাদনগরে খাল দখল ও আবর্জনায় জলাবদ্ধতায় ভুগছে দুই গ্রামের মানুষ বুড়িচং প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিলে অংশ নেওয়ায় কুমিল্লায় ছাত্রলীগ–যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মী আটক কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবি অভিযানে ৬৮ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি-শাল জব্দ বিএনপি’র বর্তমান ভূমিকা ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে- কুমিল্লায় ডা. তাহের মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭ দিন পর হাত বাঁধা শিশুর মরদেহ উদ্ধার বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় কুমিল্লায় একদিনে মাদ্রাসাছাত্রসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার বুড়িচংয়ে বিএনপির সভাপতির নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার; তীব্র নিন্দা কুবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলায় জড়িতদের তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

৮৩ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি, যেতে পারবেন বাংলাদেশিরাও

  • তারিখ : ০৯:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • 41

নিউজ ডেস্ক।।
ইতালিতে বহুল প্রতীক্ষিত মৌসুমি ও অ-মৌসুমি ভিসায় ৮২ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক নেওয়ার গেজেট প্রকাশ হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এবার মৌসুমি ভিসায় ৪৪ হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশের নাগরিকরা এই ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।

অন্যদিকে অ-মৌসুমি ভিসায় অর্থাৎ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আরও ৩৮ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক ইতালিতে আসতে পারবেন। অ-মৌসুমি ভিসার বাইরে কনস্ট্রাকশন, জাহাজনির্মাণ প্রতিষ্ঠান, মেকানিক্স, টেলিযোগাযোগসহ এসব সেক্টরে ৩০ হাজারের বেশি কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

ইতালি সরকার প্রায় আট বছর বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রাখে। তবে গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশি শ্রমিক আসার সুযোগ পাচ্ছেন দেশটিতে। মূলত কৃষিকাজের ভিসার মেয়াদ থাকে নয় মাস। নিয়মানুযায়ী নয় মাস কাজ করে স্ব-স্ব দেশে ফেরত যাবেন প্রত্যেক শ্রমিক। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা এ নিয়ম মানেন না।

জানা গেছে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা ইতালিতে কৃষিকাজের ভিসায় এসে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে থেকে যায়। আইন অনুসারে যেকোনো শ্রমিক নয় মাসের বেশি ইতালিতে অবস্থান করলে তিনি অবৈধ হয়ে যান। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা নয় মাসের ভিসায় এসে দেশে ফেরত না যাওয়ায় আইন অমান্যসহ বিভিন্ন কারণে ইতালি সরকার বাংলাদেশের কোটা বাতিল করে রেখেছিল গত কয়েক বছর।

এ বিষয়ে ইতালি বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ভেনিস সাধারণ সম্পাদক এসটি শাহাদাৎ বলেন, ইতালিতে স্পন্সরে (ফ্লুসি) আসার একমাত্র বৈধ প্রক্রিয়া। আমরা চাই এই বৈধ পথটা যেন কোনো অসাধুচক্র অপব্যবহার না করে। আমরা নিশ্চয়ই অবগত আছি প্রায় আট বছর ইতালি সরকার বাংলাদেশকে কালোতালিকাভুক্ত করে রাখে। দুই বছর ধরে এই তালিকা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। তাই বৈধ প্রক্রিয়া যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। চলতি মাসের ২৭ তারিখ ইতালি সরকার এই দিনটিকে ক্লিক ডে হিসেবে ঘোষণা করেছে অর্থাৎ এই দিন আমরা বৈধ উপায়ে ইতালিতে শ্রমিক আনার জন্য আবেদন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি একটু পরিসংখ্যানগত দিক বিবেচনা করি তাহলে দেখবো ইতালি সরকার সারাবিশ্ব থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮২ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক নিয়োগ দেবে। এর মধ্যে আবার ৪৪ হাজার রয়েছে সিজনাল অর্থাৎ আমরা যেটাকে এগ্রিকালচার ভিসা বলি; আর বাকি ৩৮ হাজার ৭০৫ জনকে আনা হবে নন-সিজনাল অর্থাৎ স্থায়ী স্পন্সর হিসেবে।

error: Content is protected !!

৮৩ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি, যেতে পারবেন বাংলাদেশিরাও

তারিখ : ০৯:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
ইতালিতে বহুল প্রতীক্ষিত মৌসুমি ও অ-মৌসুমি ভিসায় ৮২ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক নেওয়ার গেজেট প্রকাশ হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এবার মৌসুমি ভিসায় ৪৪ হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশের নাগরিকরা এই ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।

অন্যদিকে অ-মৌসুমি ভিসায় অর্থাৎ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আরও ৩৮ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক ইতালিতে আসতে পারবেন। অ-মৌসুমি ভিসার বাইরে কনস্ট্রাকশন, জাহাজনির্মাণ প্রতিষ্ঠান, মেকানিক্স, টেলিযোগাযোগসহ এসব সেক্টরে ৩০ হাজারের বেশি কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

ইতালি সরকার প্রায় আট বছর বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রাখে। তবে গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশি শ্রমিক আসার সুযোগ পাচ্ছেন দেশটিতে। মূলত কৃষিকাজের ভিসার মেয়াদ থাকে নয় মাস। নিয়মানুযায়ী নয় মাস কাজ করে স্ব-স্ব দেশে ফেরত যাবেন প্রত্যেক শ্রমিক। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা এ নিয়ম মানেন না।

জানা গেছে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা ইতালিতে কৃষিকাজের ভিসায় এসে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে থেকে যায়। আইন অনুসারে যেকোনো শ্রমিক নয় মাসের বেশি ইতালিতে অবস্থান করলে তিনি অবৈধ হয়ে যান। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা নয় মাসের ভিসায় এসে দেশে ফেরত না যাওয়ায় আইন অমান্যসহ বিভিন্ন কারণে ইতালি সরকার বাংলাদেশের কোটা বাতিল করে রেখেছিল গত কয়েক বছর।

এ বিষয়ে ইতালি বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ভেনিস সাধারণ সম্পাদক এসটি শাহাদাৎ বলেন, ইতালিতে স্পন্সরে (ফ্লুসি) আসার একমাত্র বৈধ প্রক্রিয়া। আমরা চাই এই বৈধ পথটা যেন কোনো অসাধুচক্র অপব্যবহার না করে। আমরা নিশ্চয়ই অবগত আছি প্রায় আট বছর ইতালি সরকার বাংলাদেশকে কালোতালিকাভুক্ত করে রাখে। দুই বছর ধরে এই তালিকা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। তাই বৈধ প্রক্রিয়া যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। চলতি মাসের ২৭ তারিখ ইতালি সরকার এই দিনটিকে ক্লিক ডে হিসেবে ঘোষণা করেছে অর্থাৎ এই দিন আমরা বৈধ উপায়ে ইতালিতে শ্রমিক আনার জন্য আবেদন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি একটু পরিসংখ্যানগত দিক বিবেচনা করি তাহলে দেখবো ইতালি সরকার সারাবিশ্ব থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮২ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক নিয়োগ দেবে। এর মধ্যে আবার ৪৪ হাজার রয়েছে সিজনাল অর্থাৎ আমরা যেটাকে এগ্রিকালচার ভিসা বলি; আর বাকি ৩৮ হাজার ৭০৫ জনকে আনা হবে নন-সিজনাল অর্থাৎ স্থায়ী স্পন্সর হিসেবে।