নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন (৪০) হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া তিন যুবকের একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।
এক মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরিহিত তিন যুবক গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বায়তুন নুর জামে মসজিদ গলি দিয়ে প্রবেশ করছেন। আর জামাল হোসেন মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুমাইয়া কনফেকশনারির সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করতে থাকে। এসময় আশপাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীরা থমকে দাঁড়ান। পরে সাটার নামাতে থাকেন। পথচারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে দুর্বৃত্তরা জামালের মৃত্যু নিশ্চিত করে পুনরায় মসজিদ গলি দিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
এর আগে রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গৌরীপুর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন এশার নামাজ পড়তে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বায়তুন নুর জামে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এসময় বোরকা পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন বলেন, জেলা পুলিশের একাধিক টিম রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। বোরকা পরিহিত তিন ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে স্থাপিত বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page